অস্ট্রিয়ায় মুসলিম মহিলাদের পুরো মুখ-ঢাকা নিকাব বা বোরকা পরা নিষিদ্ধ করে পাস হওয়া আইন কার্যকর হচ্ছে।
রোববার (১ অক্টোবর) থেকে এ আইন কার্যকর করছে দেশটি। অস্ট্রিয়ার সরকার বলেছে, এই আইনে মাথার চুল থেকে চিবুক পর্যন্ত মুখ দৃশ্যমান থাকতে হবে, এবং অস্ট্রিয়ার মূল্যবোধ রক্ষার জন্যই এটা করা হচ্ছে।
অস্ট্রিয়ায় প্রায় ৭ লক্ষ মুসলিম বাস করেন, কিন্তু তার মধ্যে মাত্র ১৫০ জনের মতো মহিলা পুরো মুখ-ঢাকা বোরকা বা নিকাব পরেন বলে অনুমান করা হয়।
এ আইন এমন এক সময় কার্যকর হচ্ছে যখন দেশটিতে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নির্বাচনের আগে ইসলাম-ভীতি বা বিদ্বেষের অনুভূতিকে কাজে লাগানোর চেষ্টা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে আগামী মাসের ওই নির্বাচনে হয়তো একটি উগ্রদক্ষিণপন্থী দল কোয়ালিশন সরকারের অংশ হয়ে উঠতে পারে।
নিকাব নিষিদ্ধ করার এই আইনের অন্য আরো কিছু দিকও আছে। এ আইনে চিকিৎসাগত কারণে মুখ ঢাকা বা সং সাজাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই আইনের কারণে পর্যটন কর্মকর্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে অস্ট্রিয়াতে প্রতি বছর উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্র থেকে যেসব পর্যটকরা আসে। তার ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।
ফ্রান্স এবং বেলজিয়াম ২০১১ সালে বোরকার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। নেদারল্যান্ডের পার্লামেন্টেও এ ধরণের একটি বিল আনা হয়েছে। জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল বলেছেন, আইনগতভাবে সম্ভব হলে জার্মানিতেও পুরো-মুখ-ঢাকা বোরকা বা নিকাব নিষিদ্ধ করা উচিত। বিবিসি।
নিউজ ডেস্ক
: : আপডেট, বাংলাদেশ ১০ :৪৮ এএম, ০২ অক্টোবর, ২০১৭ সোমবার
এইউ