চাঁদপুর

ইলিশের বাড়ি চাঁদপুরে হবে ইলিশবিহীন পান্তা!

চাঁদপুরে পহেলা বৈশাখ ঘীরে ইলিশের বাড়িখ্যাত পদ্মা-মেঘনায় এবার রূপালী ইলিশের দেখা নেই। জাটকা রক্ষা কার্যক্রমের কারণে নদীতে মার্চ-এপ্রিল দু’মাস ইলিশ ধরার উপর সরকারি নিষেধজ্ঞার কারণে বৈশাখে একমাত্র ভরসা হিমগারের মজুদ ইলিশ।

সেই সঙ্গে চাঁদপুর ছাড়াও সারাদেশে চাহিদা মেটাতে মিয়ানমার থেকেও প্রচুর ইলিশ আমাদানি করা হচ্ছে। তবে তাও চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। একারণে ইলিশের দাম বেড়ে গেছে কয়েক গুণ।

এদিকে পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে শহরের পাড়া-মহল্লায় অবাধে বিক্রি হচ্ছে জাটকা ইলিশ। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রয়েছে তারা খুব ভোরে এবং সন্ধ্যার পর রিক্সা করে জাটকা ইলিশ বিক্রি করতে দেখা গেছে। অন্যদিকে পহেলা বৈশাখ উদযাপনে বাঙালির নানা আয়োজনের মধ্যে পান্তা ইলিশ অন্যতম। তাই সারাদেশেই বৈশাখ এলে কদর বাড়ে চাঁদপুরের রূপালী ইলিশের। কিন্তু মার্চ-এপ্রিল চাঁদপুরসহ আশ-পাশের কয়েক জেলার সাড়ে ৮ হাজার বর্গ কিলোমিটার নদীতে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। একারণে ইলিশের বাড়িতেই বৈশাখ উদযাপনে থাকছে না পান্তা ইলিশের আয়োজন।

সরকারি-বেসরকারিসহ বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে পান্তা ইলিশের বদলে অন্যসব আইটেম রাখছে। কোন কোন প্রতিষ্ঠানে পান্তার সাথে চিংড়ি মাছ রাখছেন। ইলিশ না থাকায় চিংড়িরও কদর বেশ চড়া। এই সুযোগে ম্যৎস্য ব্যবসায়ীরা চিংড়ির দাম হাঁকিয়ে নেন একটু বেশি। বৈশাখ বলে কথা, তাই টাকার কথা না ভেবে বাঙালীত্ব ভাব বজায় রাখতে আয়োজনের কমতি থাকে না। যার যে ভাবে সামর্থ আছে, সে সেই ভাবে আয়োজন সফল করার চেষ্টা করেন।

এবার চাঁদপুরের ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছে কোল্ডস্টোরেজে রাখা হিমায়িত ও মিয়ানমার থেকে আমদানি করা ইলিশ।

দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি চাঁদপুরের একটি প্রতিষ্ঠান এ বছর মিয়ানমার থেকে আমদানি করেছেন প্রায় একশো মেট্রিক টন ইলিশ।

তবুও হিমাগারে পর্যাপ্ত মজুদ না থাকায় এবং আমদানি কম হওয়ায় ইলিশের দাম আরো বাড়বে বলে জানালেন এই আমাদানিকারক। ব্যাপক চাহিদা থাকায় প্রতিবছরের ন্যায় এবারো মিয়ানমার থেকে আনা হিমায়িত ইলিশও চাঁদপুরের ইলিশ বলে বাজারে বিক্রি হচ্ছে।

প্রতিবেদক- শরীফুল ইসলাম

Share