জাতীয়

বেলুন ও শান্তির পায়রা উড়িয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

বেলুন ও শান্তির পায়রা উড়িয়ে আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। শনিবার (২২ অক্টোবর) সকাল ১০টা ১০ মিনিটে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন তিনি।

প্রথমে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়। দলের সভাপতি শেখ হাসিনা জাতীয় পতাকা ও সাধারণ সম্পাদক জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন।

এরপরই বেলুন ও শান্তির পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা।

সম্মেলন মঞ্চে সভাপতির আসনে বসে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমি সম্মেলনের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করলাম। আরও কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে উদ্বোধনী বক্তব্যে বিস্তারিত বলবো’।

উদ্বোধনের পর পরই রয়েছে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং পবিত্র ধর্মগ্রন্থগুলো থেকে পাঠ। দলীয় শীর্ষনেতাদের বক্তব্যের পরে সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদন পেশ করবেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।

এবারের সম্মেলনে সারা দেশের জেলা, উপজেলা, মহানগরসহ বিভিন্ন ইউনিটের ছয় হাজার ৫৭০ জন কাউন্সিলর ও সম সংখ্যক ডেলিগেট অংশ নিচ্ছেন। ভারত, চীন, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের ১০টি দেশের প্রায় ৬০ জন রাজনৈতিক নেতা অতিথি হয়ে এসেছেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, কূটনৈতিক, খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবী ছাড়াও রয়েছেন বিভিন্ন দেশের হাইকমিশনার-রাষ্ট্রদূতরাও।

সম্মেলনের অভ্যর্থনা উপ-কমিটির নেতারা ছাড়াও বিদেশি অতিথিদের প্রতিনিধিরাও বক্তব্য দেবেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে শেখ হাসিনা আগামী দিনে দলের কার্যক্রম ও দেশের উন্নয়ন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ দিক-নির্দেশনা দেবেন।

উদ্বোধনী আয়োজন পরিচালনা করছেন দলের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ও উপ-প্রচার সম্পাদক অসীম কুমার উকিল।

দু’দিনব্যাপী সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশন হবে বিকেলে এবং দ্বিতীয় দিন রোববার (২৩ অক্টোবর) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে। রুদ্ধদ্বার ওই অধিবেশনে নতুন কার্যনির্বাহী সংসদ নির্বাচন করা হবে।

‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলেছি দুর্বার, এখন সময় বাংলাদেশের মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার’ স্লোগানে চলমান এ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বসেছে উৎসবমুখর মিলনমেলা।

সম্মেলনের সাংস্কৃতিক ও অন্যান্য আয়োজন ছাড়াও ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্মেলনস্থলে উপস্থাপন করা হবে আওয়ামী লীগের ইতিহাস, ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ এবং সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়নের চিত্র। (বাংলানিউজ)

নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ২:০০ পিএম, ২২ অক্টোবর ২০১৬, শনিবার
ডিএইচ

Share