এই প্রথম বাংলাদেশের শিশু-কিশোরদের জন্য নিরাপদ, আকর্ষনীয় এবং শিক্ষনীয় ভিডিও শেয়ারিং সাইট “বেবিটিউব”। শিশু-কিশোর নির্ভরযোগ্য অ্যাপ ভিত্তিক প্রথম ভিডিও শেয়ারিং সাইট এটি। অ্যাপের পাশাপাশি সেবাটি পাওয়া যাবে বেবিটিউবের প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইটেও।
বয়সভেদে যেকেউ এই সাইটে ভিডিও আপলোড করতে পারবেন। তবে বেবিটিউবে শিশুদের বিকাশের পথে বাধা হয়, এমন কোনো ভিডিও দেয়া যাবে না। কারণ প্রতিটি শিশু যেনো থাকে নিরাপদে ইন্টারনেট ব্যবহারের আওতায়। অভিভাবকরাও যেন হতে পারেন নিশ্চিন্ত। সে কারণেই বেবিতে শিশু-কিশোরদের জন্য ক্ষতিকারক ভিডিও থাকবে না। এ বিষয়ে সার্বক্ষনিক মনিটরিংয়ের মাধ্যমের অনুমোদনের পরই স্বল্প সময়ের মধ্যে অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের ভিডিওটি আপলোড করা হবে।
সব ক্যাটাগরির ভিডিও আপলোড করা যাবে যেমন- খেলাধুলা, কার্টুন, পড়াশোনা, মুভি, নাটক, গেম, গান, গজল, ট্রাভেল, ব্লগ, টেকনোলজিসহ শিশু-কিশোর নির্ভর সব ধরনের ক্যাটাগরিতে ভিডিও আপ করা যাবে। তবে সেগুলো হতে হবে শিশুদের জন্য পজিটিভ ও মজাদার।
আজকের শিশু-কিশোররা মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহার বান্ধন। তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার কারণে প্রায় সব শিশু কিশোররা মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহারে বেশ আগ্রহী। আর তাই অভিভাবকদের দুশ্চিন্তা, তাদের সন্তান যেন কোনোভাবেই খারাপ কিছুতে জড়িয়ে না যায়? তাদের দুশ্চিন্তার অবসান ঘটাতেই বেবি টিউবের উদ্যোগ।
বেবিটিউবের মাধ্যমে শিশুদের জন্য একটা নিরাপদ ইন্টারনেট প্লাটফর্ম নিশ্চিত করার লক্ষ্য কাজ করে যাচ্ছেন বেবিটিউব পরিচালনা পর্ষদ। বিজ্ঞানের আশীর্বাদ থেকে শিশুদের বঞ্চিত না করে সঠিক ও শিক্ষণীয় বিষয় পৌঁছে দিতে নয়া আয়োজন ভিন্নধারার চিন্তা; বেবিটিউব।
যে কারণে বেবিটিউব করা হল
বেবিটিউবের চেয়ারম্যান সাইদুল করিম মিন্টু বলেন, দিন দিন বাড়ছে প্রযুক্তির ব্যবহার, প্রায় প্রতিটি পরিবারে বেড়েছে মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহার। সে কারণেই শিশু-কিশোরদের নিরাপদ ইন্টারনেট প্লাটফর্ম ভিডিও শেয়ারিং সাইট বেবিটিউব।
বেবিটিউবের উপদেষ্টা তরুণ সংগীত পরিচালক কামরুজ্জামান সুজন বলেন, শিশু থেকে যদি আমরা চেষ্টা করি যেন শিশুরা বেড়ে উঠার পাশাপাশি ভালো মানুষ হয়ে গড়ে উঠে। এইজন্য প্রযুক্তির দুনিয়ায় বেবিটিউব শিশু-কিশোরদের জন্য উপযোগী পদক্ষেপ।
বেবিটিউবের প্রতিষ্ঠাতা শামীম আশরাফ বলেন, প্রযুক্তির দুনিয়ায় বেবিটিউব হবে শিশু-কিশোরদের জন্য শিক্ষণীয় ও নিরাপদ ইন্টারনেট প্লাটফর্ম। প্রতিটি শিশু-কিশোর যেনো থাকে নিরাপদ ইন্টারনেটের আওতায়। প্লেস্টোর থেকে BabyTube লিখে সার্চ দিয়ে ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবে এবং সরাসরি baby-tube.com ওয়েবসাইট থেকেও ব্যবহার করতে পারবে।
বেবিটিউবের সহ-প্রতিষ্ঠাতা সাজ্জাদুল ইসলাম বলেন, বেবিটিউবের মাধ্যমে নিশ্চিত হবে সুস্থ ও সুন্দর জীবন। শিশু-কিশোর বান্ধব সুন্দর পৃথিবী গড়তে চায় বেবিটিউব।
বেবিটিউবের হেড অব হিউম্যান রিসোর্স আবির আহমেদ বলেন, বেবিটিউব বর্তমান সময় থেকে শুরু করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সকল শিশু-কিশোরদের নিরাপদ ইন্টারনেটের আওতায় আনতে সর্বোচ্চ ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।
বেবিটিউবের হেড অব প্রজেক্ট ওয়াশিমুল রাফিন বলেন, অভিভাবকরা এই সময়ে তাদের সন্তানের হাতে মোবাইল বা ইন্টারনেট ডিভাইস তুলে দিচ্ছে । যেটি অনেক সময় ক্ষতির কারণ হয় বাচ্চাদের জন্য। তাই ইন্টারনেটে সেই ক্ষতিকর দিকটি থেকে সচেতন রাখতে বেবিটিউব ভূমিকা পালন করবে।
বেবিটিউবের ব্যবহারকারি কাজী আফতাব সামি বলেন,শিক্ষনীয় সাইড হিসেবে বেবিটিউব খুব উপকারী। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সকল শিশু-কিশোরদের জন্য বেবিটিউবের সুদূরপ্রসারী সম্ভাবনা রয়েছে।
স্টাফ করেসপন্ডেট