চাঁদপুর শহরে দিন দিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে অপ্রাপ্ত বয়স্ক বেপরোয়া মোটর সাইকেল চালকদের দৌরাত্ম। যার ফলে একের পর এক ঘটছে দুর্ঘটনা।
প্রতিদিন চাঁদপুর শহর এবং শহরের বাহিরে বেরুলেই দেখা যায় উঠতি বয়সের ছেলেরা বেপরোয়া গতিতে বিভিন্ন কোম্পানীর উন্নত মডেলের মোটর সাইকেল চালিয়ে থাকেন।
এদের বেশিরভাগই ১২-১৩ বছর হতে শুরু করে ১৭-১৮ বছর বয়সী। শহর এবং শহরের বাহিরে ওই সব চালকরা যেকোনো রাস্তায় মোটর সাইকেল বেপরোয়া গতিতে ও প্রচন্ড শব্দ করে চালিয়ে বেড়ায়।
তাদের এমন বেপরোয়া গাড়ি চালনায় আতংকিত হয়ে পথ চলতে হয় । সচেতন মহলের অভিমত , এসব অপ্রাপ্ত বয়স্ক তরুণরা এমন ভাবে গাড়ি চালায় তাদের গাড়ির শব্দ এবং দ্রুতগতির বেপরোয়া চালানো দেখে অনেকেই হতবাক না হয়ে পারছে ন্ া।
শহরে বেরুলে প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও যানযট লেগে থাকে। তারা সেই যানজটের ভেতর দিয়েও ট্রাফিক সিগনাল না মেনে বেপরোয়া ভাবে মটর সাইকেল চালিয়ে থাকেন। তাদের কারণে রাস্তায় আরো বেশি যানজটের সৃষ্টি হয়।
অপ্রাপ্ত বয়স্ক , যুবক এবং প্রাপ্তবয়স্ক চালকদের অধিকাংশ মোটর সাইকেলই লাইন্সেস বিহীন বলে জানিয়েছেন একটি মহল। তাদের প্রয়োজনীয় কোনো কাগজপত্র নেই। এবভাবে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো ও অপরাধমুলক কর্মকান্ডের জন্য অভিভাবকদেরই দায়ী করছেন সচেতন মহল।
এ সব অবৈধ মোটর সাইকেল চালিয়ে তারা নির্জন স্থানে গিয়ে মাদকসেবন, চুরি ও ছিনতাইসহ নানা অপরাধমুলক কাজ করে থাকে।
বেপরোয়া গতিতে মোটর সাইকেল চালানোর কারণে দিন দিনই দুঘর্টনা বাড়ছে। গত দু’তিন মাসে প্রায় ৫০-৬০ জন মোটর সাইকেল আরোহী সড়ক দুঘর্টনায় আহত হয়ে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। প্রতিদিনই হাসপাতালে গিয়ে সড়ক দুঘর্টনার কোনো না কোনো মোটর সাইকেল আরোহীর গুরুতর আহত হওয়ার খবর জানা যায়।
তাই এ সকল তরুণদের বেপরোয়া মোটর সাইকেল চালানো রোধ করতে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের অর্থদণ্ড দিলে, এসব যুবকরা কিছুটা সতর্ক হবে বলে মনে করছেন চাদপুরের সচেতন মহল।
প্রতিবেদক- কবির হোসেন মিজি
১০ মার্চ, ২০১৯