Home / সারাদেশ / বেতন বৈষম্য নিরসনে চাঁদপুরের এক সহস্রাধিক শিক্ষক ঢাকায়
বেতন বৈষম্য নিরসনে চাঁদপুরের এক সহস্রাধিক শিক্ষক ঢাকায়

বেতন বৈষম্য নিরসনে চাঁদপুরের এক সহস্রাধিক শিক্ষক ঢাকায়

চাঁদপুরের এক সহ¯্রাধিক শিক্ষক বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) ঢাকার কেন্দ্রিয় শহিদমিনারে লাগাতার অনশনে যোগদান করেছেন। বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক মহাজোটের ডাকে কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারে এ অনশনে যোগদেন তারা।

চাঁদপুরে বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক মহাজোটের সংগঠন না থাকলেও দাবি আদায়ের স্বার্থে তারা একাত্মা জানানোর জন্যেই ওই অনশনে যোগ দিয়েছেন বলে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রিয় কমিটির ডাকে অনশন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন বলে চাঁদপুরের জেলা কমিটির একজন শীর্ষ শিক্ষক নেতা বিষয়টি চাঁদপুর টাইমসকে নিশ্চিত করেছেন।

প্রসঙ্গত, প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত প্রধানশিক্ষকের পরের ধাপে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড নির্ধারণের দাবিতে আমরণ অনশন করছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এতে মহাজোটের অধীনে থাকা ১০টি সংগঠনের শিক্ষকরা অংশ নিয়েছেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এক দফা দাবি আদায়ের অনশন কর্মসূচিতে
কয়েক হাজার শিক্ষক এসেছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা অনশন চালিয়ে যাবেন। বিজয় না নিয়ে তারা ঘরে ফিরবে না।

বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি শাহীনুর আলম জানান, ঢাকায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার শিক্ষক উপস্থিত রয়েছেন। এ দাবি আদায় বা সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আশ্বাস না পাওয়া গেলে আমরা কর্মসূচি চালিয়ে যাবে ।

অনশনকারী শিক্ষকরা জানিয়েছেন,বঙ্গবন্ধুর আমলে বেতন স্কেলগুলোতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের পার্থক্য ছিলো না। এক ধাপ নিচে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা বেতন পেতেন। ২০১৫ সালের বেতন কাঠামোতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের সঙ্গে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের ব্যবধান হয় তিন ধাপ।

এখন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা ১৪ তম গ্রেডে (মূল বেতন ১০ হাজার ২শ’) বেতন পাচ্ছেন। আর প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন ১০তম গ্রেডে (মূল বেতন ১৬ হাজার টাকা)। সহকারী শিক্ষকরা এ বৈষম্য নিরসনে প্রধান শিক্ষকদের এক ধাপ নিতে ১১তম গ্রেডে (১২ হাজার ৫ শ’)বেতন চান।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে শিক্ষকগণ বলেন,‘এটা সরকার-বিরোধী আন্দোলন নয়। মর্যাদা নিয়ে ক্লাসে ফিরে যেতে চাই। একটা আশ্বাসই পারে আমাদের সব সমস্যা সমাধান করতে।’

সহকারী শিক্ষক ফ্রন্টের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম ফেরদৌসী বলেন,‘ দেশের ৬৪টি জেলা থেকেই শিক্ষকরা এসেছেন। অনেকে পথে আছেন। কর্মসূচিতে আমরা এক থেকে দেড় লাখ শিক্ষকের সমাবেশ ঘটাব।’

অনশন কর্মসূচিতে সহকারী শিক্ষক সমাজ, সহকারী শিক্ষক সমিতি,সহকারী শিক্ষক ফাউন্ডেশন,সহকারী শিক্ষক সমাজ-২,সরকারি সহকারী শিক্ষক সমিতি, সহকারি শিক্ষক সমাজ-৩,সহকারী শিক্ষক সমিতি-২,সহকারী শিক্ষক ফোরাম,সহকারী শিক্ষক ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ব্যানারে শিক্ষকরা অংশ নিয়েছেন।এছাড়া প্রধান শিক্ষক সমিতির ৪ টি সংগঠন এ কর্মসূচিতে ঐক্যমত প্রকাশ করেছে।

বার্তা কক্ষ
আপডেট,বাংলাদেশ সময় ৬:১০ পিএম,২৪ ডিসেম্বর ২০১৭,রোববার
এজি