মালয়েশিয়ার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিদেশি কর্মীদের মূল বেতন থেকে ২০ শতাংশ কেটে রাখার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে ব্যবসায়ী মালিকদের। ১৫ ডিসেম্বর এ প্রস্তাবটি দিয়েছেন দেশটির মানবসম্প্রদ মন্ত্রী এম. কুলাসেগারান।
তিনি বলেন, এটি বাস্তবায়ন হলে মালিক ও শ্রমিক উভয়পক্ষের জন্যই লাভজনক হবে। বিদেশি কর্মীর ভিসার মেয়াদ শেষে নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার সময় সঞ্চিত বেতনের অংশ ফেরত দেয়া হবে। ফলে মালিকের কাছ থেকে পালিয়ে যাওয়ার প্রবণতাও কমে আসবে।
তবে এটি বাস্তবায়ন হলে বিদেশি কর্মীদের নিয়োগকর্তাদের ভবিষ্যতে সমস্যায় পড়ার আশংকা করছে ফেডারেশন অব মালয়েশিয়ান ম্যানুফ্যাকচারারস (এফএমএম)। সেই সমস্যাগুলো মোকাবেলায় প্রস্তাবটি বোঝার জন্য আরো বিস্তারিত জানানোর আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।র
এফএমএম-এর সভাপতি দাতুক সোহা থিয়ান লাই বলছেন, শ্রমিকদের অর্থ সঞ্চয়, পালিয়ে যাওয়া থেকে সুরক্ষা, স্বল্পমেয়াদি বৈদেশিক বিনিময় হ্রাসের মতো কিছু ইতিবাচক ফলাফল হতে পারে। তবে আরও কিছু দিক বিবেচনা করা উচিত।
১৮ ডিসেম্বর তিনি বিবৃতিতে এ মন্তব্য করে বলেন, কর্মীদের সমবিধিবদ্ধ অবদান হিসেবে বিদেশি কর্মী নিয়োগের আইনে সংশোধন করা উচিত। বেতনের ২০ শতাংশ কাটার প্রস্তাবনাটি উচ্চমাত্রার হতে পারে কিনা। কারণ, বিদেশি কর্মীরা নিজ দেশে ঋণ পরিশোধের জন্য প্রতিশ্রুতি বদ্ধ থাকে।থিয়ান লাই এ ব্যাপারে আরো বলেন, কর্তন করা অর্থ ব্যাংকের সঞ্চয় হিসাবে সুদ আছে কি-না সে সম্পর্কেও সরকারকে মেকানিজম এবং মানদণ্ড বিবেচনা করতে হবে। কোনো পালিয়ে যাওয়া শ্রমিকের সঞ্চয় বাজেয়াপ্ত করার বৈধতা এবং মানবাধিকার দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়টির ওপরও নজর দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
এদিকে বিদেশি কর্মীদের মূল বেতনের ২০ শতাংশ কাটার এ প্রস্তাবনা বিবেচনার জন্য মন্ত্রিসভায় জমা দেয়ার আগে একটি পর্যালোচনা কমিটির সভা হওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করছে ফেডারেশন অব মালয়েশিয়ান ম্যানুফ্যাকচারারস (এফএমএম)।
বার্তা কক্ষ
২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur