চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে বৃষ্টি হলেই পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে তীব্র যন্ত্রণা পোহাতে হচ্ছে উপজেলার বাসিন্দাদের। প্রচণ্ড খরতাপ, অন্যদিকে বিদ্যুতের নিয়মিত ঘনঘন আসা-যাওয়ায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন তাঁরা।
শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় উপজেলাটির চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুতের ব্যবস্থাও রয়েছে। তবে ঝর-তুফানের কবলে পড়ে বিভিন্ন সময়ে লাইনের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।
ফরিদগঞ্জ জোনাল অফিসের পক্ষ থেকে বলা হয়, বৃষ্টিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু থাকলে লাইন নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই বৃষ্টিপাতের শুরুতেই শুরু হয়েছে লোডশেডিং।
অভিযোগ উঠেছে, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর ফরিদগঞ্জ জোনাল অফিসের কর্মকর্তাদের উদাসীনতার কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলায় বিদ্যুৎ নিয়ে চলছে নানান নাটকীয়তা। সামান্য বৃষ্টি নামলেই বিদ্যুৎ থাকে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফরিদগঞ্জ উপজেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ২২ মেগাওয়াট। বরাদ্দ অনুযায়ী প্রায় ২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে। পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তারা দাবি করছেন, ফরিদগঞ্জে কোনো লোডশেডিং নেই।
এ বিষয়ে উপজেলার রূপসা উত্তর ইউনিয়নের পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক তসলিম হোসেন বলেন, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় বৃষ্টি হয়েছে। আজ দুপুর ২টা বাজে, কিন্তু এখনো বিদ্যুতের দেখা মেলেনি। এখন আমাদের ফ্রিজে মাছ-মাংস যা আছে, সব নষ্ট হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা।
পৌর এলাকার শাহ আলম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘বৃষ্টি দেখা দিলেই বিদ্যুতের ভেলকিবাজি আরম্ভ হয়। বৃষ্টি হলে বিদ্যুৎ থাকবে না এটা কোন নিয়ম আল্লাহ ভালো জানেন। আর পল্লী বিদ্যুতে ফোন দিলে শুধু ব্যস্ত কয়।’
চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর ফরিদগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম প্রকৌশলী মো. কামাল হোসেন বলেন, কালবৈশাখীর কারণে এই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গাছপালা পড়ে বিদ্যুতের লাইনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসবের কাজ করতে সময় লাগে। আর বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন ও গ্রিডে সমস্যা থাকলে সরবরাহ বন্ধ থাকে। বর্তমানে ফরিদগঞ্জে কোনো লোডশেডিং নেই।
ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি, ২৩ এপ্রিল ২০২২