দিনমজুর আব্দুল মজিদের ঘরে স্ত্রী, তিন মেয়ে ও ছোট দুই পুত্র সন্তান নিয়ে ৭ জনের টানাটানির সংসার। অভাবের তাড়নায় পুরানো ভাংগা ঘরেই বসবাস। যখনই বৃষ্টি শুরু হয়, ঠিক তখনই পরিবারের সকল সদস্য আশ্রয় নেয় ঘরের এক কোনে।
সরেজমিনে গেলে এমন মানবিক জীবন যাপন করতে দেখা যায়, হাজীগঞ্জ উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের তারালিয়া গ্রামে।
গ্রামের বেপারী বাড়ীর মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে দিনমজুর আ.মজিদ (৫০) স্ত্রী নাসিমা বেগম ও তাদের ঘরে ৫ সন্তান নিয়ে এক প্রকার খোলা আকাশের নিচে বসবাস পরিবারটির। পুরানো ভাংঙ্গা ঘরের টিনের চাল নেই বললেই চলে। চারদিকের বেড়াও অনেকটা পাকা। ঘরের ভিতরের পর্দা দিয়ে তিন মেয়ের থাকার ব্যবস্থা থাকলেও একটু বৃষ্টি হলে পরিবারের সবাই ঘরের পশ্চিম কনে একাকার হয়ে আশ্রয় নিতে হয়।
বর্তমান সময়ে কোন জনবসতি পরিবার এমন নিধারুণ কষ্টে অতিবাহিত করতে হচ্ছে কিনা তা জানা নেই পাশ্ববর্তী বাসিন্ধাদের।
দিনমজুর আব্দুল মজিদ বলেন, স্ত্রী ও পাঁচ সন্তান নিয়ে খুব কষ্টে আছি। এক শতাংশের উপরে আমার এ ভাংঙ্গা ঘর। যে কারনে গত প্রায় ৬ বছর পূর্বে আমার ঘরের পাশে বড় ভাই জাহাঙ্গীর বেপারীর কাছ থেকে ১ শতাংশ জায়গা সাব কবলা দলিল মূল্যে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করেছি।
কিন্তু আপন বড় ভাই জায়গা দখল বুঝিয়ে না দিয়ে তালবাহানা শুরু করে আসছে। এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন সুরাহ পায়নি। বর্তমানে বর্ষার এ সময়ে বৃষ্টি হলেই স্ত্রী সন্তান নিয়ে ঘরের এক কোনে কিংবা অন্যের ঘরে আশ্রয় নিতে হয়। এ বিষয়ে প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সার্বিক সহযোগিতা চাই।
বেপারী বাড়ির পাশ্ববর্তী ঘরের বাসিন্ধা এমরান হোসেন, মো.সেলিম ও তাছলিমা বেগম বলেন, বর্তমান সময়ে মানুষ এমন নিধারুণ কষ্টে আছে তা মজিদের পরিবারের দিকে তাকালে বুঝা যায়। ঘর করার জায়গা না থাকায় আপন বড় ভাই জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে এক শতাংশ জায়গা ক্রয় করলেও তা দখল ছেড়ে না দিয়ে তালবাহানা শুরু করেছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা ফেলে মজিদের পরিবার নতুন ঘর করে মাথা গোজার ঠাই হবে।
প্রতিবেদক:জহিরুল ইসলাম জয়, ৬ আগস্ট ২০২০