চাঁদপুরে বৃষ্টির পানিতে নিজ গাছতলায় দুই সহস্রাধিক বাড়িঘর ভেঙে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

চাঁদপুরে একরাতের টানা বৃষ্টিতে নিজ গাছতলা গ্রামের প্রায় ২ থেকে আড়াই’শ পরিবারের মানুষ জলাবদ্ধতার শিকার হয়েছেন। জলাবদ্ধতায় ভেঙ্গে গেছে অনেকের নবনির্মিত টিনসেট বিল্ডিং, বাউন্ডারির দেয়াল, চলাচলের রাস্তা ও বসত ঘরের মেঝে। অনেকের মাছের ঘের ডুবে গেছে ও গরুর ফার্মেও পানি ঢুকে অনেকে দুর্ভোগে পড়েছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ চাঁদপুর-রায়পুর সড়কের নিচ দিয়ে পানি নিস্কাসনের জন্য সরকারি যে কালভার্ট রয়েছে। প্রভাব শালীরা সেই কালভার্ট টি বন্ধ করে দিয়ে জমি ভরাট করার কারনে এমন দুর্যোগে পড়েছেন তারা।

জানা যায়, ৪ অক্টোবর শুক্রবার রাত ভর টানা ভারি বৃষ্টিতে চাঁদপুর সদর উপজেলার ৮নং বাগাদী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডস্থ নিজ গাছ তলা গ্রামের ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় ঠিকমতো বৃষ্টির পানি নামতে পারেনি। যার কারনে ওই গ্রামের প্রায় আড়াই,শ পরিবারের মানুষ জলাবদ্ধতার শিকার হন। রাতভর বৃষ্টির পানি নামতে না পারায় ওই এলাকার কয়েকটি বাড়ির এবং চলাচলের প্রধান রাস্তা গুলো ভেঙ্গে পানি নামতে দেখা গেছে। পানির স্রোতে ভেঙ্গে গেছে অনেকের জমির বাউন্ডারির দেয়াল, বসত ঘরের পিড়া এবং টিসসেট বিল্ডিং।

নিজ গাছতলা গ্রামের, আব্দুল আউয়াল,মোঃ আল আমিন খান, বাদল খান, জসিম খান, টেলু গাজী, দেলু গাজী, শাহআলম গাজী, সুলতান গাজীসহ একাধিক ভুক্তভোগীরা জানান, এতোদিন থেকে থেকে বৃষ্টি হলেও তাদের গ্রামে পানি জমে কিছুটা জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হলেও শুক্রবার রাতের টানা বৃষ্টিতে তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। তাদের অভিযোগ, গত কয়েক বছর আগে চাঁদপুর-রায়পুর সড়কের বাগাদি চোরাস্তার সংলগ্নস্থানে কিছু প্রভাবশালীরা তাদের জমি ভরাটের জন্য পানি নিস্কাশনের সরকারি কালভার্টের মুখটি বন্ধ করে দেন। যার ফলে গত কয়েক বছর ধরে বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার শিকার হয়ে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয় তাদের। তবে শুক্রবার রাতের টানা ভারির বৃষ্টিতে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার শিকার হন তারা। বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতায় তাদের অনেকের রাস্তা ঘাট, বসত ঘরের পিড়া, বাউন্ডারির দেয়াল এমনকি টিনসেট বিল্ডিংও ভেঙ্গে পড়ে। পানিতে তলিয়ে যায় অনেকের ঘরবাড়ি। তাই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া জন্য তারা চাঁদপুর জেলা প্রশাসন ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সুদৃষ্টি কামনা করছেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ ঘন্টায় প্রায় ২৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা এই বছরের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। চলতি বছর ২৭ মে জেলায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ২৫৭ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়েছিল।

প্রতিবেদক: কবির হোসেন মিজি, ৫ অক্টেবর ২০২৪

Share