চাঁদপুরে ৪ দিনের টানা বৃষ্টিতে আলুর আবাদি জমি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। রোপণকৃত আলু বীজ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষক। ফলে একদিকে আলু উৎপাদনে ক্ষতিগ্রস্থ,অপরদিকে হাজার হাজার টাকা ধার দেনা করে লোকসানের আশঙ্কায় কৃষকগণ হতাশ হয়ে পড়েছেন।
চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জেলায় ৩ হাজার ৭শ’৯২ হেক্টর জমির আলু বীজ এখন পানির নীচে।
চলতি মৌসুমে জেলায় আলুর আবাদ লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ১২ হাজার ৮শ’৯০ হেক্টর । ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত চাষাবাদ হয়েছে ৪ হাজার ৬ শ’ ৯৫ হেক্টর জমিতে। সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে মতলব দক্ষিণ উপজেলার নিচু এলাকা। সেখানে ২ হাজার ২শ’ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছিল।
এছাড়া চাঁদপুর জেলা সদরে ৯ শ’ হেক্টর জমির আলুবীজ পানির নীচে রয়েছে। এ বছর কচুয়া উপজেলায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এখন পর্যন্ত ৪ শ’হেক্টর জমিতে আলু চাষাবাদ করা হয়েছে।
অসময়ের বৃষ্টির পানি জমে রোপণকৃত আলুর বীজ ও প্রয়োগকৃত সার সবই বিনষ্ট হয়ে গেছে। কেবলমাত্র বীজই বিনষ্ট হয়েছে ৬ লাখ টাকা ওপর।এ ছাড়া ইরি বোরো ধানের বীজতলা,করলা ,ধনিয়া,মূলা,লালশাক,মরিচ,লাউ,কুমড়া ইত্যাদি শাক-সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক আলুর জমি থেকে পানি সরানোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ৪ দিনের টানা বৃষ্টিতে সকল কৃষকের আলুর জমি পানিতে তলিয়ে গেছে।
পরপর ২ বছর আলু চাষে বৃষ্টির কারণে ধস নেমেছিল। এ বছর আলু চাষে অধিক ফলন উৎপাদনের মাধ্যমে তা’ পুষিয়ে নেবার কথা ছিলো। কৃষকগণ যাতে জমি থেকে দ্রুত পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, চাঁদপুরে এবার প্রাকৃতিক দূর্যোগে ও টানা বৃষ্টির কারণে কৃষকদের আলুর জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কৃষক ।
প্রতিবেদক- আবদুল গনি
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৬:১০ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭, বুধবার
ডিএইচ