হাজীগঞ্জে প্রায় ১২০ বছর বয়সী বৃদ্ধা মায়ের ভূমি কৌশলে লিখে নিয়ে ছোট ভাইকে বসতঘর থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে বড় ভাই ও ভাতিজার বিরুদ্ধে হাজীগঞ্জ থানায় উচ্ছেদ মামলা হয়েছে এবং স্থানীয় কাউন্সিলর ও শালিসদারদের তৎপরতা শুরু হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, হাজীগঞ্জ পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড বলাখাল ওলিউল্লাহ সর্দার বাড়ীর মৃত হাবিবউল্ল্যাহ মুন্সীর ৮ ছেলে মেয়ে। স্ত্রী রহিমা বেগমের বর্তমান বয়স প্রায় ১২০ বছর। স্বামী হাবিবউল্ল্যাহ প্রায় অর্ধশত বছর আগে মারা যান। তাদের ৮ সন্তানের মধ্যে দুই ছেলে আবুল বাসার ও খলিলুর রহমানের পরিবারের মধ্যে ভূমি নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়।
মামলার বাদী খলিলুর রহমানের বড় মেয়ে রাজিয়া সুলতানা জানান ‘তার জেঠা আবুল বাসার সু-কৌশলে শতবছর বয়সী দাদির কাছ থেকে প্রায় ১৩ শতাংশ জায়গা লিখে নেন। তার বাবা খলিলুর রহমান পরিবারের ছোট ছেলে হিসেবে দাদার ঘর পেয়ে মেরামতের কাজ ধরেন। কিন্তু তার জেঠা আবুল বাসার ও জেঠাতো ভাই নুরে আলম জোরপূর্বক দাদার দেওয়া ঘর উচ্ছেদ করে সেখানে নতুন ঘর তৈরি করে জায়গাটি দখল করে নেয়। স্থানীয় ভাবে বসার পর জানানো হয় খলিলুর রহমান কোনো ভূমি পাবে না। তাই বাদ্য হয়ে থানায় ঘর উচ্ছেদের অভিযোগ দায়ের করেছি।
তাদের অভিযোগ, মামলার প্রধান আসামি নুরে আলমকে পুলিশ আটক করলে মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে আনেন স্থানীয় কাউন্সিলর মাঈনুদ্দিন। মুচলেকা মাথায় নিয়ে তিনদিন পরে নুরে আলম বিদেশে চলে যায়। গত ৩০ সেপ্টেম্বর পুলিশ বাড়িতে আসলে তারা নতুন ঘরে অবস্থান নিয়েছেন।
অভিযুকক্ত আবুল বাসার বলেন, বৃদ্ধা মায়ের সেবা যত্ন করি আমি, তিনি আমার ঘরে থাকেন খান তা সবাই জানে। মায়ের নিজ অংশ থেকে কিছু সম্পত্তি আমাকে দান করেছেন। আমার ভাই খলিল গত ৩০ বছর ধরে এ বাড়িতে থাকেন না।
মৃত হাবিবউল্ল্যাহ মুন্সীর দুই মেয়ে শাহিদা ও নূরজাহান বেগম বলেন, আমাদের ভাই আবুল বাসার ও খলিলুর রহমানের মধ্যে চলমান বিরোধ নিরোসনের জন্য এসেছি। বর্তমানে বৃদ্ধ মায়ের দেখাশুনা নিয়েও জটিলতা তৈরি হয়েছে। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।
স্থানীয় কাউন্সিলর মাঈনুদ্দিন মিজি বলেন, আমরা সমাধনের লক্ষ্যে এরইমধ্যে বসেছি। উভয় পক্ষের পরিবার আরেকটু আগ্রহ প্রকাশ করলে আশা করি বিদ্যমান যে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে তা আর থাকবে না।
প্রতিবেদক : জহিরুল ইসলাম জয়, ২ অক্টোবর ২০২১