করোনা সংক্রমণ রোধে সারা দেশের ন্যায় চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) উৎসবমূখর পরিবেশে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্নভাবে বুস্টার ডোজ ক্যাম্পেইন পালিত হয়েছে।
একদিনে ৭৫ লাখ মানুষকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা দেয়ার লক্ষ্যে দেশব্যাপী এ ক্যাম্পেইনের ঘোষণা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সে লক্ষ্যে আজ সারা দেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে এ বুস্টার ডোজ ক্যাম্পেইন।
দেশে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ও তুলনামূলক কম বুস্টার (তৃতীয়) ডোজ কাভারেজ বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
তারই আলোকে মতলব উত্তরে এ দিন ১৮ বছরের বেশি যে কেউ দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার চার মাস পূর্ণ হয়েছে এমন ব্যক্তিদেরকে বুস্টার ডোজ হিসেবে ফাইজার টিকা প্রদান করা হয়েছে।
উপজেলায় এ দিন মোট ২৬ হাজার মানুষকে বুস্টার ডোজ হিসেবে ফাইজার টিকা প্রদান করা হয়েছে বলে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স সূত্রে জানাগেছে।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) সকাল ৯টায় উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভাসহ ১৪টি ইইনিয়নে স্থায়ী কেন্দ্রসহ ৪৬টি কেন্দ্রে এই বুস্টার ডোজের গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতি ইউনিয়নে পৌর ভবন/ইউনিয়ন পরিষদ, কমিউনিটি ক্লিনিক, এসব কেন্দ্রগুলোতে ৩টি করে কেন্দ্র করে এই বুস্টার ডোজ ক্যাম্পেন অনুষ্ঠিত হয়। একটি টিমে ২ জন টিকাদানকারী ও ৩ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছেন।
উৎসবমূখর পরিবেশে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্নভাবে ১নং ওয়ার্ডের ১৮ বছরের বেশি যে কেউ দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার চার মাস পূর্ণ হয়েছে এমন ব্যক্তিদেরকে বুস্টার ডোজ হিসেবে ফাইজার টিকা প্রদান করা হয়েছে। এদিন এই কেন্দ্রে এক হাজার মানুষকে বুস্টার ডোজ হিসেবে ফাইজার টিকা প্রদান করা হয়েছে। টিকাদান কাজে নিয়োজিত ছিলেন,স্বাস্থ্য সহকারী মোঃ কামাল হোসেন,বিমল চন্দ্র দাস।
কোনো ঝামেলা ছাড়াই বুস্টার ডোজ নিতে পেরে খুশি ছেংগারচর পৌরসভার নাগরিকরা। তারা টিকাদান কাজে দায়িত্ব পালনকরা স্বাস্থ্যকর্মীদেরকে ধন্যবাদ জানান এবং টিকাদান ব্যবস্থাপনায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।
ছেংগারচর পৌরসভায় বুস্টার ডোজ ক্যাম্পেইনে বুস্টার ডোজ নিতে আসা এশিয়ান টিভির সাংবাদিক সুমন ও শ্রমিকলীগ নেতা শামীম প্রধান, জানান,প্রথমে ভয় পেয়েছিলাম। পরে টিকা যে নিয়েছি টেরই পাইনি। সবাই করোনামুক্ত থাকার জন্য করোনার বুস্টার নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। তারা বলেন, কোভিড-১৯ থেকে কার্যকর সুরক্ষা পাওয়ার জন্য সবাইকে টিকার তৃতীয় ডোজ নিতে হবে। এখনও যারা বুস্টার ডোজ গ্রহণ করেনি তাদেরকে অতি দ্রুত বুস্টার নেওয়ার আহবান জানান।
এ দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডা.আসাদুজ্জামান জুয়েল ও ছেংগারচর পৌর প্রশাসক সহকারী কমিশনার ভুমি হেদায়েত উল্লাহ ছেংগারচর পৌরসভার বিভিন্ন টিকাদান কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। এসময় ছেংগারচর পৌরসভার পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ সুফিয়ান খান,মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (এমটিইপিআই) ভাষান চন্দ্র কীর্তনীয়া,স্বাস্থ্য পরিদর্শক সুভাষ চন্দ্র,সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক রোকেয়া বেগম,এফপিআই মারফত আলী মজুমদার, সিএইচসিপি মোহন মোল্লা ও এমএসবি কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও এদিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়মিত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ১ম ও ২য় ডোজের স্বাভাবিক কার্যক্রম চলমান ছিলো।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ১৯ জুলাই ২০২২