একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে বিএনপি জোটের। বিএনপির নেতৃত্বাধীন দুই জোটের ২৭টি দল মিলে ৩০০ আসনের মধ্যে পেয়েছে মাত্র ৭টি আসন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৮৮ আসনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে।
ধারণার চেয়েও অনেক বেশি আসন পেয়ে আওয়ামী লীগ যেখানে ফুরফুরে, সেখানে রাজ্যের হতাশা ভর করেছে ধানের শীষের পরাজিত প্রার্থীদের মনে।
একদিকে হতাশা, অন্যদিকে মামলার ঘানি, সব মিলিয়ে বিপর্যস্ত বিএনপি শিবির। এই যখন অবস্থা তখন ধানের শীষের প্রার্থীদের ঢাকায় ডাকা হয়েছে। পরাজয়ের চিত্র জানাতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার তারা ঢাকায় আসছেন।
জানা গেছে, নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ শুরু করেছে বিএনপি। এখন প্রার্থীদের মুখ থেকে নির্বাচনী চিত্র জানতে তাদের ঢাকায় ডাকা হয়েছে। বৃহস্পতিবার গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে তাদের নিয়ে বৈঠক করবেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সিনিয়র নেতারাও এ সময় উপস্থিত থাকবেন।
সূত্রমতে, প্রার্থীদের কাছ থেকে ভোট ডাকাতি ও কেন্দ্র দখলের তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করে বিএনপি আন্তর্জাতিক মহলকে সেগুলো দেখাবে। বোঝাতে চাইবে যে এ দেশে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ভোট হওয়া সম্ভব নয়। বিএনপি বলবে যে, ২০১৪ সালে তাদের ভোটে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। বিএনপি অনতিবিলম্বে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে দেশে পুনর্নির্বাচন দাবি করবে।
জানতে চাইলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বৃহস্পতিবার দলীয় প্রার্থীদের ঢাকায় ডাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মহাসচিব তাদের সঙ্গে বসবেন।
নির্বাচনের আগে ও ভোটের দিনের চিত্র প্রার্থীদের কাছ থেকে জানা হবে। নির্বাচনের দিন কোনো অনিয়ম ও কারচুপির তথ্যপ্রমাণ থাকলে তা সংগ্রহ করা হবে।
ধানের শীষের প্রার্থীদের ভোটে অনিয়ম-কারচুপির প্রমাণ, প্রতিটি কেন্দ্রের অস্বাভাবিক ভোটের হিসাব, গ্রেফতার হওয়া এজেন্ট ও নেতাকর্মীদের তালিকা, সহিংসতায় আহত ও নিহতদের তালিকাসহ ৮টি বিষয়ের তথ্যসংবলিত একটি প্রতিবেদনও দিতে বলা হয়েছে। ভোট কারচুপির ভিডিও থাকলে সেটিও প্রতিবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত করতে বলা হয়েছে।
গাজীপুর-৫ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী কারাবন্দি ফজলুল হক মিলনের স্ত্রী শম্পা হক জানান, তাকে ঢাকায় ডাকা হয়েছে। তিনি বৃহস্পতিবার ঢাকায় গিয়ে ভোট কারচুপি ও নীলনকশার প্রমাণ তুলে ধরবেন। (যুগান্তর)
বার্তা কক্ষ
২ জানুয়ারি,২০১৯