কাহিনী কী? অনুসন্ধানে জানা গেল, সিসি ক্যামেরা ভীতির কারণে এ অবস্থা। হ্যাঁ, এফডিসিতে সম্প্রতি ৩৫টি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। গেটেও আছে বেশ কয়েকটি। তাই ‘ধান্ধা’ করলেও গেট থেকে বেশ দূরে গিয়ে আড়ালে-আবডালে করছেন। যাক! চোখের সামনে তো হচ্ছে না!
এফডিসি ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ ফ্লোরেই চলছে টিভি চ্যানেলের ঈদ অনুষ্ঠানের দৃশ্যায়ন। শুটিং হচ্ছে ‘বসগিরি’ ও ‘প্রেমী ও প্রেমী’র। এর মধ্যে হুট করেই বন্ধ হয়ে গেল ‘প্রেমী ও প্রেমী’র শুটিং। সিনেমাটির পরিচালক জাকির হোসেন রাজু অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
কয়েকদিন ধরে সাগরেদদের নিয়ে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় বুবলিকে ভালোবাসার কথা জানিয়ে মিছিল করেছেন শাকিব খান। এ কথা কানে যেতেই রেগে আগুন নবাগত এ নায়িকা। এত বড় সাহস! পুরনো বাংলা সিনেমার মতো বড়লোক বাবার গুণ্ডা বাহিনী নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন শাকিবের উপর। ‘বসগিরি’ সিনেমার এ দৃশ্যের শুটিং হচ্ছিল এফডিসির মান্না ডিজিটাল কমপ্লেক্সের সামনে।
মারামারির কৌশল দেখিয়ে দিচ্ছিলেন হাজার সিনেমার অ্যাকশন পরিচালক আরমান। অতীত ও বর্তমানের তুলনা করে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে জসীম ভাই সিনেমায় ফাইট আনছেন। এখনকার নায়করা ফাইট শিখে আসে না, বা শিখতেও চায় না। তবে শাকিব ব্যতিক্রম। ও অনেক ভাল ফাইট পারে।’
শট শেষে কড়া রোদের কারণে শাকিব চলে গেলেন মান্না ফ্লোরের ভেতরে। কথা প্রসঙ্গে তিনি বললেন, ‘কলকাতার তুলনায় আমাদের পরিচালকরা কম মেধাবী না। কিন্তু তারা একটা জায়গায় পিছিয়ে— প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে। তাদেরকে ভাল প্রযুক্তি দেন দেখবেন কলকাতার ইন্ডাস্ট্রি আমাদের কাছে কিছু না।’
পরিচালক শামীম আহমেদ রনি জানালেন, ছবির শুটিং শেষ পর্যায়ে। ঈদের পর গানের শুটিং হবে।
সূর্য তখন মধ্য গগনে। আরো অনেকের মতো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শুটিং দেখছি। কড়া রোদের মধ্যেও শাকিব নিরলসভাবে শট দিয়ে যাচ্ছেন। দেখি আর ভাবি— একটি দৃশ্য সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে শিল্পীদের কত কষ্ট করতে হয়। দর্শক তার কতটুকুই বা জানেন।