Home / জাতীয় / ২৬ মার্চের মধ্যে বুদ্ধিজীবীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
বুদ্ধিজীবী
প্রতীকী ছবি

২৬ মার্চের মধ্যে বুদ্ধিজীবীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

আগামি ২৬ মার্চের আগে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। আজ বুধবার ১৪ ডিসেম্বর সকাল ৮টার দিকে রায়েরবাজার বদ্ধভূমিতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

জামায়াতের রাজনীতি করার অধিকার থাকতে পারে না-জাতির এই দাবির সঙ্গে একমত উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘পাকিস্তান আমলের চেয়ে ভালো আছি- এই কথা বলে তারা কী বোঝাতে চায়? তাদের দোসরাই পারে এসব কথা বলতে। তারাই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি।’

একই সময়ে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন,‘একাত্তরের পরাজিত শত্রুরা এখনো সক্রিয়। বিদেশে যারা পলাতক রয়েছে তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। ১০ তারিখে বিএনপি যে কর্মসূচি পালন করেছিল,হানাদার বাহিনীও ১৯৭১ সালে এভাবে দেশকে ধ্বংস করে কর্মসূচি দিয়েছিল।’

এর পরপরই শ্রদ্ধা জানাতে আসেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘বুদ্ধিজীবী হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল জামায়াতে ইসলামী। আর তাদের সঙ্গে বিএনপি জোট করেছে।’

হাছান মাহমুদ বলেন,‘১০ ডিসেম্বর কয়েকজন বুদ্ধিজীবীকে তুলে নেওয়া হয়েছিল, গুম হয়েছিল। এদিন থেকেই বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশা বাস্তবায়ন শুরু হয়। সেই ১০ ডিসেম্বরকেই বিএনপি সমাবেশের জন্য বেছে নিয়েছে। যারা যুদ্ধাপরাধী তাদের ইতিমধ্যেই জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বলেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবীরা যে কারণে জীবন দিয়েছিলেন, শাহাদত বরণ করেছিলেন। সেই লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও দর্শন নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত। এটার কারণ হলো, তারা ছিল অত্যন্ত মানবিক, উদারনৈতিক ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী।’

বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, সংগঠন ছাড়াও শ্রদ্ধা জানাতে আসেন ১৪ ডিসেম্বর রাতে নিহত, নিখোঁজ বুদ্ধিজীবীদের সন্তানেরাও। তাঁরাও সরকারের কাছে পুরোনো দাবিগুলোই এবারও তুলেছেন। যেগুলো এত বছর পরেও বাস্তবায়ন না হওয়ায় তাঁরা ক্ষোভ জানিয়েছেন।

শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরীর ছেলে আসিফ মুনীর বলেন,‘বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে দূতাবাসগুলোর মাধ্যমে জানানো হয়নি এখনো। জাতি জানতে চায়,সরকার কেনো তাদের ফিরিয়ে আনতে পারল না?’

বুদ্ধিজীবী সৈয়দ মোর্শেদ আলীর সন্তান তাহমিনা খান বলেন,‘১৪ ডিসেম্বরের বীভৎসতার স্বীকৃতি আমাদের দাবি। স্বজনদের রক্তের দাবি আমরা ছাড়ব না। সেই গণহত্যার কথা পৃথিবীতে তুলে ধরুন। পরবর্তী প্রজন্মও যেন এই দাবিতে সোচ্চার থাকে।’

এ ছাড়া কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স,কমরেড খলিকুজ্জামান,যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ,সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ও পেশাজীবী নেতারা শ্রদ্ধা জানান।

১৪ ডিসেম্বর ২০২২
এজি