বিয়ের সময় যত ঘনিয়ে আসছে মনের ভেতর অস্থিরতাও তত বাড়ছে। যাদের পারিবারিকভাবে বিয়ে ঠিক হয় তাদের ক্ষেত্রে এই অস্থিরতার মাত্রা আরও অনেক বেশি থাকে। কারণ, একেবারেই অচেনা একটা মানুষের সঙ্গে হুট করেই একসঙ্গে থাকার আয়োজন।
অধিকাংশ অভিভাবকই চান বিয়ের আগে পাত্র-পাত্রী একে অপরের সঙ্গে কথা বলুক। কিছুটা সহজ করে ফেলুক নিজেদের সম্পর্কটা। সেজন্য অভিভাবকরা তাদেরকে একসঙ্গে ঘোরাফেরা করা এবং ফোনে কথাবার্তা বলার সুযোগ করেন দেন। আর এতেই ঘটে বিপত্তি! দুজনের মনেই প্রচণ্ড অস্বস্তি ভর করে বসে। কোথা থেকে কথা শুরু করবে, কীভাবে কথা বলবে, কিভাবে তার সামনে যাবে, অঙ্গভঙ্গি কেমন হবে ইত্যাদি বিষয় নিয়ে নানান দ্বিধা-দ্বন্দ্ব। তাই পাত্র হিসেবে আগেই সচেতন থাকা ভালো। সেজন্য জেনে নিতে পারেন কথা বলার কিছু কৌশল।
ভদ্রতার সঙ্গে কুশলাদি
কথা শুরু করার সময় প্রথমেই উচিৎ কুশলাদি জিজ্ঞাসা করা। এই ভদ্রতাটুকু অবশ্যই করতে হবে প্রথম কথাতে। কেমন আছেন, বাসার সবাই কেমন আছে, কী করছেন ইত্যাদি নানান রকমের প্রশ্ন করে কথা শুরু করতে পারেন।
আপনি বলে সম্বোধন
কথা বলার শুরুতে অবশ্যই পাত্রীকে ‘আপনি’ সম্বোধনে কথা বলবেন। কথা কিছুক্ষণ চলার পর হবু জীবন সঙ্গীকে ‘তুমি’ বলার অনুমতি দিয়ে তার কাছ থেকেও অনুমতি নিয়ে নিতে পারেন। ‘তুমি’ সম্বোধনে সম্পর্কটা অনেক সহজ হয়ে যাবে আপনাদের।
পছন্দের বিষয়ে কথা বলা
ধীরে ধীরে আপনাদের আলোচনার মোড় ঘুরতে পারে একে অপরের পছন্দ অপছন্দের বিষয় নিয়ে। তবে ব্যাপারটা স্মার্টভাবে করতে হবে আপনাকে। হুট করে ‘আপনার প্রিয় রঙ কী?’ এই ধরনের প্রশ্ন করা যাবে না। এতে আপনার সম্পর্কে তার ধারণা হালকা হয়ে যেতে পারে। প্রাসঙ্গিক কিছু বিষয়ে কথা বলার মাধ্যমে পছন্দ অপছন্দের বিষয়টি জেনে নিন।
পুরনো সম্পর্ক এড়িয়ে চলা
আপনার হবু জীবন সঙ্গীকে কখনই হুট করে পুরনো কোনো সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করা উচিত হবে না। পুরনো প্রেম নিয়ে প্রথম কথাতেই জিজ্ঞাসা করলে আপনার হবু সঙ্গী আপনাকে সন্দেহপ্রবণ ভাবতে পারে।
অশালীন কথা এড়িয়ে যান
আপনার সঙ্গে যার বিয়ে হতে চলেছে তাকে হুট করে অতিরিক্ত ব্যক্তিগত কোনো কথা বলবেন না। প্রথম কথাতেই একান্ত ব্যক্তিগত বা অশালীন কোনো কথা বলা ঠিক নয়। এধরনের মন্তব্য করলে আপনার সম্পর্কে তার খারাপ ধারণা সৃষ্টি হবে।
তাই প্রথম আলাপ হওয়া চায় প্রাসঙ্গিক, ভদ্রতা ও শালীনতা সম্পন্ন। যা সঙ্গীকে আপনার সম্পর্কে উচ্চ ধারণা দিতে সাহায্য করবে।