ইসলাম

হাদিসের আলোকে বিয়ের পর একসঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর নামাজ

নববিবাহিত স্বামী-স্ত্রীর প্রথম সাক্ষাতে করণীয় হলো যে, স্বামী তার স্ত্রীর মাথায় হাত রেখে দোয়া করবে। আর মুসতাহাব হলো স্বামী-স্ত্রী উভয়ে একসঙ্গে দু’রাকাআত নামাজ আদায় করবে। এটা সলফে সালেহীনদের থেবে বর্ণিত রয়েছে। তাছাড়া এ সম্পর্কে হাদিসে এসেছে-

হজরত আবু উসাইদ মাওলা আবু সাইদ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, ‘আমি দাস অবস্থায় বিয়ে করলাম। অতঃপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাহাবাদের (রাদিয়াল্লাহু আনহুম) একটি ছোট দলকে দাওয়াত দিলাম। তাদের মধ্যে হজরত ইবনে মাসউদ, আবু যার এবং হুজাইফা রাদিয়াল্লাহু আনহুমও উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, নামাজের ইক্বামাত দেয়া হলো। তিনি বলেন, হজরত আবু যার রাদিয়াল্লাহু আনহু সামনে যেতে শুরু করলেন, অতঃপর তারা বললেন, সাবধান! যাবেন না। তিনি বললেন, অনুরূপ কি? তাঁরা বললেন হ্যাঁ। তিনি (আবু উসাইদ মাওলা আবু সাইদ) বলেন, আমি তাদের সামনে গেলাম। অথচ আমি একজন ক্রীতদাস।

অতঃপর তাঁরা আমাকে শিক্ষা দিয়ে বললেন, ‘যখন তোমার স্ত্রী তোমার কাছে আসবে, তখন দু’রাকাআত নামাজ পড়বে। তারপর তোমার কাছে যে প্রবেশ করেছে আল্লাহর কাছে তার কল্যাণ কামনা করবে এবং তার খারাপী থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করবে। তারপর তোমার ও তোমার স্ত্রীর ব্যাপার। (মুসান্নাফ আবি শায়বা, মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক, ইবনে হিব্বান)

অন্য হাদিসে এসেছে-

হজরত শাকিক হতে বর্ণিত তিনি বলেন, এক ব্যক্তি আগমন করল, তাকে আবু হারিজ বলে ডাকা হতো। তারপর তিনি বলেন, নিশ্চয় আমি একজন যুবতী কুমারী মহিলাকে বিয়ে করেছি। আর আমি ভয় করছি যে, সে আমাকে অসন্তুষ্ট করবে।

তারপর হজরত আবদুল্লাহ অর্থাৎ ইবনে মাসউদ বললেন, নিশ্চয় বন্ধুত্ব ভালোবাসা আল্লাহর পক্ষ থেকে আর রাগ অসন্তুষ্টি শয়তানের পক্ষ থেকে। শয়তানের ইচ্ছা হলো- আল্লাহ তোমার জন্য যা বৈধ করেছেন তা সে তোমাদের নিকট ঘৃণা সৃষ্টি করবে।

সুতরাং সে (স্ত্রী) যখন তোমার কাছে আসবে তখন তাকে জামাআত সহকারে তোমার পেছনে রেখে দু’রাকাআত নামাজ পড়তে নির্দেশ দিবে।  (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবাহ, মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক, তাবারানি)

অতঃপর ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু অন্য বর্ণনায় বলেছেন, তুমি (দোয়া

ইসলাম ডেস্ক ।। আপডটে, বাংলাদশে সময় ৭ :১৫ পিএম, ২২ নভেম্বর ২০১৬, মঙ্গলবার
এইউ

Share