সম্প্রতি তার একটি লেখায় শি বলছেন, ২০২০ সালের মধ্যে চীনে কনের অভাবে অবিবাহিত পুরুষের সংখ্যা দাঁড়াবে তিন থেকে চার কোটি। ফলে মেয়েদের দাম ক্রমাগত বাড়তে থাকবে। তার মতে, ধনী পুরুষরা মোটা পন দিয়ে বৌ কিনে নিবে, কিন্তু গরীবদেরতো অত টাকা নেই। তাই তারা কয়েকজন মিলে একটি মেয়েকে বৌ হিসেবে গ্রহণ করতে পারে।
পাণ্ডবদের যুগ না হলেও চীনের নারীদের ‘দ্রৌপদি’ হওয়ার পরামর্শ দিলেন দেশটির এক অধ্যাপক। দেশটির গ্রামাঞ্চলে বিয়ের কনের অভাব দেখা দেওয়ায় পুরুষদের বৌ ভাগাভাগির পরামর্শ দিয়েছেন চীনের ঝিজাং বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক শি ঝাওশি।
সম্প্রতি তার একটি লেখায় শি বলছেন, ২০২০ সালের মধ্যে চীনে কনের অভাবে অবিবাহিত পুরুষের সংখ্যা দাঁড়াবে তিন থেকে চার কোটি। ফলে মেয়েদের দাম ক্রমাগত বাড়তে থাকবে।
তার মতে, ধনী পুরুষরা মোটা পন দিয়ে বৌ কিনে নিবে, কিন্তু গরীবদেরতো অত টাকা নেই। তাই তারা কয়েকজন মিলে একটি মেয়েকে বৌ হিসেবে গ্রহণ করতে পারে।
এই পরামর্শটি অধ্যাপক শি এর কল্পনা প্রসূত না । তিনি জোর দিয়ে বলেন, প্রত্যন্ত অনেক দরিদ্র এলাকায় এরকম ঘটনা এখনই ঘটছে। কয় ভাই মিলে একটি মেয়েকে তাদের বৌ হিসেবে গ্রহণ করছে।
এক বহুপতির এক পত্মীক সংসারও ভালো চলছে বলে শি তার লেখায় উল্লেখ করেছেন।
তবে শি এর এমন লেখা চীনে, বিশেষ করে অনলাইনে, তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।
চীনের একটি নারীবাদী সংগঠনের নেতা জিং শিওং বলছেন, প্রফেসর শি নারীদের পুরুষের যৌন ক্ষুধা মেটানো এবং বাচ্চা পয়দা করার পুতুল হিসেবে বিবেচনা করছেন।
তবে চীনের বাস্তবতা কিন্তু ভিন্ন কথা বলছে, বর্তমানে দেশটিতে প্রতি ১০০ মেয়ে শিশুর বিপরীতে ১১৭টি ছেলে শিশু জন্ম নেয়। আর নারী-পুরুষের সংখ্যার এই ভারসাম্যহীনতা দিন দিন বাড়ছে। এর কারণে নানাবিধ সামাজিক সঙ্কট প্রকটতর হচ্ছে।
চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ০১:৩৯ পিএম,২৮ অক্টোবর ২০১৫, বুধবার
এমআরআর