সন্তান গর্ভে ধারণের আগে কোনো নারী তার স্বামী ছাড়া অন্য কোনো পুরুষ বা প্রেমিকের শয্যাসঙ্গী হলে তার নাম নথিভুক্ত বাধ্যতামূলক করতে আইন করতে যাচ্ছে জার্মানি। কেবল অভিভাবকত্বের মামলার প্রশ্নে এ আইন কার্যকর হবে।
বুধবার (৩১ আগস্ট) এ আইনের খসড়া দেশটির পার্লামেন্টে উত্থাপন করা হয়।
জার্মানিতে প্রচলিত আইন অনুযায়ী, কোনো নারীর স্বামী যদি জানতে পারেন, যাকে তিনি সন্তান ভাবছেন এটি তার সন্তান নয়, বরং অন্য পুরুষের, তাহলে তিনি প্রকৃত পিতার কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারেন। তবে এ আইনে কেবল দুই বছর সন্তানের ব্যবস্থাপনার জন্য যে ব্যয় হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ দাবি করা যায়।
এ কারণে এ আইনটি সংশোধন করে ক্ষতিপূরণের ব্যাপ্তি বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রচলিত আইনে কোনো ‘গুরুতর কারণে’ মা চাইলে সন্তানের প্রকৃত পিতার নাম গোপন রাখতে পারবেন বলেও বিধান রয়েছে। সরকার এ বিধানটির পরিবর্তন চাইছে।
জার্মানির বিচারমন্ত্রী হেইকো মাস বলেছেন, ‘ভুয়া (যিনি আসল বাবা নন) বাবাকে ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তি নিশ্চিতে আমাদের আরো বেশি আইনি সুরক্ষা দিতে হবে।’
প্রস্তাবিত সংশোধনীতে বলা হয়েছে, অভিভাবকত্বের প্রশ্নে কিংবা মামলার ক্ষেত্রে গর্ভধারণের আগে কোনো জার্মান নারী স্বামী ব্যতীত অপর কোনো পুরুষ কিংবা প্রেমিকের শয্যাসঙ্গী হলে তার নাম প্রকাশ করতে হবে। একই সঙ্গে এই নাম সরকারি নথিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
নিউজ ডেস্ক : :আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৪:৪০ পিএম, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৬, শুক্রবর
ডিএইচ