চাঁদপুর টাইমস ডট কম:
বিয়ের আসরে দেরি করে পৌঁছলে বরকে গুণতে হবে মিনিটে ১০০ টাকা। এমনই এক অদ্ভূত নিয়ম দীর্ঘদিন ধরে পালন করে আসছেন উত্তরপ্রদেশের রামপুরের টঙ্কপুরি টান্ডা এলাকার বাসিন্দারা। কোনও খাপ পঞ্চায়েতের নির্দেশ বা ধর্মগুরু ফতোয়া মেনে নয়, সর্বসম্মতির ভিত্তিতে নিজেরাই এ ধরনের নিয়ম দীর্ঘদিন ধরেই পালন করে আসছেন তাঁরা।
বর দেরি করে আসলে শুধু ১০০ টাকা জরিমানাই নয়, বিয়ের ব্যাপারে আরও কিছু নিয়ম তাঁরা বহুদিন ধরেই মেনে আসছেন। ওই গ্রামের বাসিন্দারা মনে করেন, বিয়ের ক্ষেত্রে বর ও কনে একই গ্রামের হওয়া বাঞ্ছনীয়। ওই গ্রামের এক ধর্মগুরু মাওলানা আরসাদ জানিয়েছেন, অন্য এলাকা বা শহরের পাত্র-পাত্রীর সঙ্গে বিয়ে তাঁরা পছন্দ করেন না। এর প্রেক্ষাপটে তাঁর যুক্তি, এতে ওই গ্রামের মেয়ে-বউরা নিরাপদে থাকতে পারে। সম্প্রতি চারদিকে যে অপরাধমূলক কাজ বেড়ে চলেছে এর থেকেও অনেকটা রেহাই পাওয়া যায় বলে মনে করেন তিনি।
ওই গ্রামের বর্তমান জনবসতি প্রায় ১০০০০। বহুদিন ধরে তাঁদের পূর্বপুরুষেরাও এই নিয়মই মেনে এসেছেন।
বিয়ের ক্ষেত্রে তাঁদের বেশকিছু বিধিনিষেধও রয়েছে। বিয়ে উপলক্ষে রাস্তায় নাচগান, কিংবা ব্যান্ড বাজানো, এবং খাবার নষ্ট এগুলির উপরেও রয়েছে নিয়মের কড়াকড়ি। বিয়ে উপলক্ষে বাজে খরচ বন্ধ করতেই এই নিয়ম।
কনের বাড়িতে বিয়ের সময় ঠিক করে দেন মাওলানারা। সেক্ষেত্রে বর পৌঁছতে দেরি করলে তাঁকে জরিমানা দেয়ার নিয়ম প্রচলিত আছে ওই গ্রামে। আরসাদ জানিয়েছেন, এরফলে তাঁদের নিকাহ একদম সময় মতোই হয়।
তাঁর বক্তব্য, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিয়ের আসরে অনুষ্ঠান শুরু হতে দেরি হয়। এই নিয়মের ফলে যথা সময়ে বিয়ের অনুষ্ঠান সুসম্পন্ন হতে পারে।