বিসিবি সভাপতির পদ ছাড়ছেন পাপন

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালনা পরিষদের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করতে রাজি আছেন নাজমুল হাসান পাপন। বিসিবির এক শীর্ষ পরিচালককে তিনি দেশের বাইরে থেকে ফোনে এই ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন বলে জানা গেছে। তিনি তৃতীয় মেয়াদে বিসিবির সভাপতি নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, পরিচালক কাজী ইনাম আহমেদের মাধ্যমে এ বার্তা দিয়েছেন পাপন। বিসিবির একজন পরিচালক জানান, পাপন তার সিদ্ধান্তের কথা দেশের মিডিয়ায় তুলে ধরতে বলেছেন।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে আত্মগোপনে আছেন বিসিবির সভাপতি। জানা গেছে, তিনি সস্ত্রীক লন্ডনে অবস্থান করছেন।

পাপনের পদত্যাগের পর কী হতে পারে? নিয়ম অনুযায়ী পাপনের পদত্যাগের পর ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অনুমতিক্রমে বোর্ডের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া পরিচালকদের মধ্যে থেকে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হবেন দুজন। তাদের মধ্যে থেকে সভাপতি নির্বাচিত হতে পারেন যে কেউ। কিন্তু এর বাইরে গিয়ে সরকারি হস্তক্ষেপে যদি বোর্ডে পরিবর্তন আসে, সেক্ষেত্রে আইসিসির খড়গ নেমে আসতে পারে। তবে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে ক্রিকেটকে বাঁচিয়ে রাখতে যে পথে এগুনো প্রয়োজন, ঠিক সেই পথে চলার চেষ্টা করছেন বিসিবির পরিচালকরা।

পাপন ২০১২ সালে সরকার মনোনিত সভাপতি হয়েছিলেন আ হ ম মুস্তফা কামাল আইসিসির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর। ২০১৩ সালে নির্বাচিত সভাপতি হন তিনি। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার সুবিধা নিয়ে আরও দুইবার সভাপতি নির্বাচিত হয়ে স্বেচ্ছাচার চালাতে থাকেন। নিয়মের তোয়াক্কা না করে ক্রিকেট এবং ক্রিকেটারদের ওপর হস্তক্ষেপ করে গেছেন। পাপনের ছত্রছায়ায় বেক্সিমকো ফার্মার অনেকে বিসিবি কর্মকর্তা হন। পরিচালক ইসামাইল হায়দার মল্লিকের সিদ্ধান্তই ছিল বিসিবির নিয়ম। অনিয়ম দুর্নীতি ও কমিশন বাণিজ্যের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। (সমকাল)

Share