শিরোপা উদযাপনে ছাদখোলা বাসের ব্যবহার বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে নিয়মিত ঘটনা। যেকোনো বড় সাফল্য অর্জনের পর সেটিকে ভক্ত-সমর্থকদের সঙ্গে উদযাপনের জন্যই মূলত ব্যবহার করা হয় ছাদখোলা বাস। শিরোপা হাতে বাসের ছাদে দাঁড়িয়ে ভক্ত-সমর্থকদের অভিবাদনের জবাব দেন দলের সদস্যরা।
বাংলাদেশের ক্রিকেট তথা খেলাধুলায় তেমন কোনো বড় সাফল্য মেলেনি এতদিন। যে কারণে ছাদখোলা বাসের ব্যবহারও দেখা যায়নি রাজধানীর রাজপথে। অবশেষে প্রথমবারের মতো কোনো বৈশ্বিক শিরোপা অর্জন করেছে দেশের ক্রিকেট। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল জিতেছে যুব বিশ্বকাপের শিরোপা।
এ সাফল্য উদযাপনের জন্য রঙিন সাজে সেজেছে দেশের হোম অব ক্রিকেট, মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম। পুরো স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণ ঢেকে ফেলা হয়েছে আকবর-রাকিবুল-হৃদয়দের শিরোপা উল্লাসের ছবি দিয়ে।
আজ (বুধবার) বিকেলেই স্বপ্নের শিরোপাটি নিয়ে দেশে ফিরবেন আকবর আলি, তৌহিদ হৃদয়রা। হযরত শাহজালাল (র) বিমানবন্দর থেকে যুবারা চলে যাবে সরাসরি শেরে বাংলায়। তাদের এ বিমানবন্দর-শেরে বাংলা যাত্রায় ছাদখোলা বাস না হলেও, বিশেষ ‘চ্যাম্পিয়ন বাস’ এর ব্যবস্থা করেছে বিসিবি।
সাধারণত জাতীয় দল বা বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো যাতায়াতের জন্য ব্যবহৃত হয় স্পন্সরের লোগো সম্বলিত টিম বাস। যেখানে লেখা থাকে বিভিন্ন অনুপ্রেরণামূলক বাক্য। তবে এবারই প্রথমবারের মতো ‘বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন’ লেখা বাস ব্যবহার করা হবে ক্রিকেট দলের জন্য।
বিসিবি কার্যালয়ের সামনে আজ সকাল থেকেই যাত্রার জন্য প্রস্তুত দেখা গিয়েছে একটি মিনি বাস। যেটা পুরোটা মোড়া অনূর্ধ্ব-১৯ দলের খেলোয়াড়দের উল্লাসরত ছবি দিয়ে। আর বাসের গায়ে বড় করা লেখা রয়েছে ‘বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন’।
আকবর আলী, তৌহিদ হৃদয়,পারভেজ ইমন, রাকিবুল হাসান, শরীফুল ইসলামদের জন্য অপেক্ষা করছে এই বিশেষ টিম বাস। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের মোড়ক আঁটা এই বাসে চেপে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে বিসিবিতে আসবেন বিশ্বজয়ী যুবারা।
ঢাকা ব্যুরো চীফ