চাঁদপুর সদর উপজেলাধীন ১নং বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বিজিএফের চাউল নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) সকাল ১০ টায় ইউনিয়ন পরিষদে জেলেদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও জেলেদেরকে চাউল বিতরণের জন্য সরকারের তহবিল থেকে জেলে প্রতি ৪০ কেজি করে দেওয়ার কথা।
কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদে জেলেরা চাউল আনতে গেলে তাদেরকে সর্বোচ্চ ২০-২৫ কেজি করে চাউল বিতরণ করা হচ্ছে।
বিষয়টি প্রমাণ করার জন্য জেলেদের মধ্যে দামুদরদী সরকার বাড়ির বলরাম সরকার, ছোটন সরকার, মনছুর, আবুল কালাম তারা সবাই মিলে তাদের নিজস্ব দেওয়া চাউলগুলো দোকানের ডিজিটাল পাল্লায় মাপলে কোনো বস্তায় ২৫ কেজি, কোনোটাতে ২৭ কেজি আর কোনোটায় ২২ কেজির মত দেখে তারা আন্দোলন ও হৈ হুল্লা শুরু করে।
এমন সময় উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার দেলোয়ার হোসেন এসে জেলেদেরকে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘তোমরা সবাই বিএনপির লোক, বেশি প্যাঁচাল করলে চাউল দেয়া বন্ধ করে দিবো।’
এ হুমকির পর, জেলেরা ভয়ে নিরবে যা দিচ্ছে তাই নিয়ে চলে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার ও ট্যাক অফিসার দেলোয়ার হোসেনের সাথে আলাপ করলে তিনি প্রথমে জানান, এই ৯১১ জন জেলেদের বিজিএফ চালের ডিউ-৩৬টন (৪৪০ কেজি) আমার নামে দেয়া হয়। চাউল আনতে গেলে সেখানে আনুসাঙ্গিক ১৬ থেকে ১৭ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। সরকারের মাধ্যমে বরাদ্দ ছিলো জেলে প্রতি ৪০ কেজি করে দেওয়ার কথা সেখান থেকে আমার খরচ উঠাতে আমি ৩৮ কেজি করে দিয়েছি।’
কিন্তু জেলেরা ৩৮ কেজি করেও পাচ্ছেন না জানালে, তিনি কারো কাছে জবাবদিহি করবেন না বলে জানান।
এদিকে জেলেরা জানায়, আমাদেরকে ২২ কেজি, ২৫ কেজি, ২৭ কেজি করে চাউল দেয়, আমরা জিজ্ঞেস করতে গেলে আমাদের কোন পাত্তাই দেয় না।’
এ ব্যাপারে বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান মন্টুর সাথে আলাপ করলে তিনি চাঁদপুর টাইমসকে জানান, আমার মাধ্যমে কোন বরাদ্দ আসেনি আমি কিছুই জানিনা।
ইউনিয়ন সচিব আনোয়ার হোসেনের সাথে আলাপ করলে তিনি চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘আমাদের হাতে কোন ক্ষমতা নেই, ট্যাক অফিসার যা বলেন তাই করতে হবে কারণ এই বজিএফ চাউল ওনার নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়।’
: আপডেট ০৯:১৭ পিএম, ২৯ মার্চ ২০১৬, মঙ্গলবার
ডিএইচ