দুদককে নির্বিষ ‘ঢোঁড়া’ সাপ না হয়ে বিষধর ‘জাত’ সাপ হওয়ার আহবান জানিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, দুদকের কাজ হলো দুর্নীতি ও অর্থপাচার প্রতিরোধ করা। সেগুলো করতে গিয়ে দুদককে ঢোঁড়া সাপ হলে হবে না, জাত সাপ হতে হবে। দাঁত নেই এরকম সিংহ হয়ে লাভ নেই। ভাঙ্গা দাঁত নিয়ে কাজ করতে পারবেন না। দন্তহীন বাঘ হলে চলবে না। দুদককে দেশ ও জাতির জন্য কাজ করতে হবে।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার এ মন্তব্য করেন। বাংলাদেশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে গোপনে সুইস ব্যাংকসহ বিভিন্ন বিদেশে ব্যাংকে পাচার হওয়া টাকা অবিলম্বে ফেরত আনতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদনের ওপর শুনানিকালে দুদকের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে এ মন্তব্য করেন হাইকোর্ট। আদালত পরবর্তী শুনানির জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেছেন।
সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস গত পহেলা ফেব্রুয়ারি রিট আবেদন করেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে আব্দুল কাইয়ুম খান শুনানি করেন। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। এসময় রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
আদালতের মন্তব্যের পর শুনানিতে দুদকের আইনজীবী বলেন, দুদক কখনওই দন্তহীন বাঘ ছিল না। এ সময় আদালতে অন্য মামলায় উপস্থিত আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, দাঁত আছে, কিন্তু দাঁতে বিষ নাই। জবাবে দুদক আইনজীবী বলেন, ‘সবই আছে।’
আব্দুল কাইয়ুম খান আদালতকে বলেন, পাচার হওয়া টাকা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয়তার ব্যাপারে, দুদকের কাছে যে তথ্য আছে সেটা দাখিল করার জন্য, অর্থ পাচার রোধে বিশেষ তদন্ত টিম করার, আইন সংশোধনের জন্য আদেশ প্রদানে আদেশ চেয়েছি।
আদালত বলেন, সঠিক তথ্য না থাকলে আমরা এটা কিভাবে দেব। আব্দুল কাইয়ুম খান বলেন, রুল দিয়ে আপনারা দুদকের কাছে তথ্য চান। দুদক তথ্য দিতে বাধ্য।
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১