আজ ১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস । বিশ্বে জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের স্থান অষ্টম। বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশের জনসংখ্যা বাড়ছে।
জনসংখ্যা বিস্ফোরণ নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন কার্যক্রম বিদ্যমান থাকায় বৃদ্ধির হার সহনশীলতার মধ্যে রয়েছে।
বর্তমানে বাংলাদেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি। ২০৫০ সালে তা বেড়ে প্রায় ২২ কোটিতে দাঁড়াবে। গত ৪০ বছরে দেশের জনসংখ্যা বেড়েছে প্রায় তিনগুণ। ছোট্ট একটি দেশে বহুল জনসংখ্যা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। তবে এ বর্ধিত জনগোষ্ঠীকে জনশক্তিতে রূপান্তরিত করার সুপরিকল্পিত উদ্যোগই পারে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে।
বর্তমানে ৫৫ লাখ মানুষ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মজীবী হিসেবে বসবাস করায় ও তাদের অর্জিত অর্থ দেশে পাঠানোর ফলে দেশের উন্নয়নের ধালা অব্যাহত থাকায় জনসংখ্যার বিস্ফোরণের নেতিবাচক প্রভাব চোখে দৃশ্যমান নয়। প্রকৃতভাবে দেশের নানা উন্নয়নে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছ্।ে
১৯৮৭ সালের এই দিনে বিশ্বের জনসংখ্যা ৫শ’ কোটিতে উন্নীত হয়। এর ফলে ইউএনডিপি’র গভর্ন্যান্স কাউন্সিল প্রতিবছর দিনটিকে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস হিসেবে পালন করার প্রস্তাব করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯০ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত হয়। দিবসটি পালনের উদ্দেশ্য হচ্ছে, জনসংখ্যা বিষয়ক সমস্যাগুলো সকলকে জানানো এবং তা গুরুত্ব ¡ দিয়ে সমাধান করা। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো এবারও বাংলাদেশ দিবসটি পালন করছে।
নগরায়ন, নদীভাঙ্গন, বন কাটা, জলবায়ুর পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবের কারণে বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ছেই। ফলে বাড়ছে প্রাকৃতিক দুযোর্গও। সে সাথে বিশ্বজুড়ে জাতিগত দ্বন্দ্ব ও সহিংসতাসহ নানা কারণে বাস্তুচ্যুতি ও জোরপূর্বক অভিবাসন তো রয়েছেই। এসব দুর্যোগ ও দ্বন্দ্বে নারী ও শিশুরা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছ্ ে।
এ দুযোর্গ বাড়ছে উদ্বেগজনকভাবে। ২০১৪ সাল থেকে বিগত বছরের তুলনায় দুযোর্গ বেড়েছে ৩১ শতাংশ। এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এর ফলে ৯ মিলিয়ন মানুষ বাস্তুহারা হয়েছে। আর সারা বিশ্বে এ সংখ্যা ৬০ মিলিয়ন।
বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে দুর্যোগ পরিস্থিতিতে নারী ও শিশুর কথা সবার আগে ভাবতে হবে । বাংলাদেশ শুধুই জনসংখ্যাবহুল দেশই, বরং বিশ্বে আরোও দুযোর্গপূর্ণ দেশ রয়েছে।। এখানে যে কোনো সময় যে কোনো দুযোর্গ দেখা দিতে পারে। বন্যা, জ্বলোচ্ছাসের সঙ্গে এখন ভূমিকম্প ও নতুনভাবে বজ্রপাত যুক্ত হয়েছে। এ অনিশ্চিত দুযোর্গ মোকাবেলায় বাংলাদেশেও পূর্ব প্রস্তÍুুতি থাকা গুরুত্বপূর্ণ। আর এক্ষেত্রে ঝুকিঁপূর্ণ জনগোষ্ঠী কারা সেটিও চিহ্নিত করা জরুরি। পাশাপাশি জনসংখ্যা বিস্ফোরণ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি জোরদার রাখা অপরিহার্য ।
সম্পাদনায়- আবদুল গনি
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur