আন্তর্জাতিক

বিশ্ব গণমাধ্যমে তোলপাড় করা একটি বাল্যবিয়ে

‎Tuesday, ‎09 ‎June, ‎2015   04:13:34 AM

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

যুদ্ধবিধ্বস্ত চেচনিয়া। রুশ দখলে যাওয়ার পর থেকেই এই অঞ্চলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা চরম আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে নারীদের অবস্থা তো খুবই করুণ। স্বাধীন মতপ্রকাশের অধিকার থেকে তারা পুরোপুরি বঞ্চিত। রাশিয়া নিযুক্ত দেশটির নেতা রমজান কাদিরভ তো প্রকাশ্যে বলেই দিয়েছেন, আমি আমার স্ত্রীকে সমালোচনা করার অধিকার রাখি, কিন্তু আমাকে সমালোচনা করার অধিকার তার নেই। চেচেন সমাজে একজন নারী নিছকই পুরুষের সম্পত্তি।
তোলপাড় সৃষ্টি করা চেচনিয়ার এক বাল্যবিয়ে


এহেন চেচেনে সম্প্রতি এক সুন্দরী নাবালিকা কিশোরীকে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়েছে ৫৭ বছর বয়সী পুলিশপ্রধান নাজহুদ গুচিগভের সঙ্গে। এই বাল্যবিয়ে হয়েছে চেচেন প্রশাসনের সরাসরি সহযোগিতায়। বিবাহিত এবং কয়েক সন্তানের জনক নাজহুদ সপ্তদশী সুন্দরী লুইজা গয়লাভিয়েভাকে বিয়ে করে মহানন্দেই আছেন। আর লুইজা? তার রাতদিন কাটছে চোখের পানি ফেলে।

প্রথম খেকেই বাবার বয়সী নাজহুদকে বিয়েতে লুইজার ঘোরতর আপত্তি ছিল। কিন্তু পুরুষশাসিত চেচেন সমাজে তার আপত্তি পাত্তা পেল না। সে চোখের পানিতে বুক ভাসালেও সমাজপতিদের হৃদয় এতটুকু গলেনি, চেচেন নেতা রমজানের সরাসরি তত্ত্বাবধানে তাকে জোর করেই বিয়ে দেওয়া হয় পুলিশপ্রধান নাজহুদের সাথে। রাশিয়ার উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও সেই বিয়ের আসরে যোগ দিয়ে মহাফুর্তিতে খানাপিনা করেন।
তোলপাড় সৃষ্টি করা চেচনিয়ার এক বাল্যবিয়ে

এই অসম বিয়ের ঘটনা প্রকাশিত হয় সারা বিশ্বের গণমাধ্যমে। এরপর শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও চলছে রসাত্মক আলোচনা। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় পুরস্কারপ্রাপ্ত ইয়ালেনা মিলাশিনার কাছে লুইজার গ্রামের কিছু লোকজন এসে মেয়েটির দুর্গতির কথা তাকে জানান এবং বিষয়টি পত্রিকায় প্রকাশ করতে অনুরোধ করেন। গ্রামবাসীরা তাকে বলে, লুইজাকে পুলিশপ্রধানের হাতে তুলে দিতে মেয়েটির বাবা মাকে তারিখ বেঁধে দেওয়া হয়।

অন্যথায় পরিণতি খুবই খারাপ হবে বলে তাদের হুমকি দেওয়া হয়। আর হুমকিটা আসে এত উঁচু জায়গা থেকে, কার ঘাড়ে কয়টা মাথা যে বিয়েতে আপত্তি করে। চেচনিয়ায় এই বিয়ে কেলেঙ্কারি নিয়ে মন্তব্য করতে বলা হলে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ’আমরা বিয়ের কারবার করি না। এই কথার মাধ্যমে তিনি কি বোঝাতে চাইলেন সৃষ্টিকর্তাই জানেন।’

চাঁদপুর টাইমস : ডেস্ক/ডিএইচ/২০১৫

চাঁদপুর টাইমস প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না

Share