৫৪তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত আজ শনিবার। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টার মধ্যে এ মোনাজাত হতে পারে। আর আগামীকাল রবিবার থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় পর্ব। গতকাল শুক্রবার মাওলানা যোবায়েরপন্থীদের ব্যবস্থাপনায় প্রথম পর্বের ইজতেমা শুরু হয়। তার আগে বৃহস্পতিবার বাদ আসর থেকেই মূলত ইজতেমার কার্যক্রম শুরু হয়। এতে অংশ নেন দেশ-বিদেশের উলামায়ে কেরামরা।
বিশ্ব ইজতেমার প্রধান কর্মসূচি আমবয়ানে গতকাল শুক্রবার অংশ নেন, বাদ ফজর : মাওলানা জিয়াউল হক (পাকিস্তান), বাদ জুমা : মাওলানা শেখ মোহাম্মদ গাস্সান (সৌদি আরব), বাদ আসর : মাওলানা জোহায়েরুল হাসান (ভারত), বাদ মাগরিব : মাওলানা ইব্রাহিম দেওয়ালা (ভারত)।
ইজতেমা উপলক্ষে ‘কহর দরিয়া’ পারের বিশাল চটের শামিয়ানার তল পূর্ণ হয়ে যায় বৃহস্পতিবার রাতেই। পরে খোলা আকাশের নিচে ঠাঁই নেয় অনেকে। এ অবস্থায় জুমার জামাতে শামিল হতে আসা মুসল্লিরা যে যেখানে জায়গা পেয়েছে, সেখানে দাঁড়িয়ে আদায় করেছে জুমার নামাজ।
এ বিষয়ে বিশ্ব ইজতেমার তথ্যবিষয়ক কমিটির দায়িত্বশীল জিম্মাদার জহির ইবনে মুসলিম জানান, এবার দেশের সব জেলা থেকে একযোগে মুসল্লিরা ইজতেমায় যোগ দেওয়ায় স্থান সংকুলানে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে সবাই ধৈর্যের সঙ্গে খেত্তায় অবস্থান করে ইজতেমার কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে। আখেরি মোনাজাতের পর দেশ-বিদেশে নতুন জামাত পাঠানোর কার্যক্রম শুরু হবে।
ইজতেমার বৈদেশিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কমিটির সিনিয়র সদস্য প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান জানান, অল্প সময় ও ভিসাসংক্রান্ত কারণে এবার বিদেশি মেহমানের সংখ্যা কম। এ পর্যন্ত এক হাজারের কিছু বেশি বিদেশি মেহমান ইজতেমায় অংশ নিতে পেরেছে।
এদিকে গত দুই দিনে বিশ্ব ইজতেমা ও আশপাশের এলাকায় নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ইজতেমা ময়দানের প্রতিটি খেত্তায় রয়েছে সাদা পোশাকের গোয়েন্দা তৎপরতা। দু-চার গজ পরপরই রয়েছে পুলিশের অবস্থান। ইজতেমার চারপাশে উঁচু ওয়াচ টাওয়ারে র্যাবের সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ রয়েছে। রয়েছে কিছুক্ষণ পর পর আকাশে হেলিকপ্টারে নিরাপত্তা বাহিনীর টহল।
আন্তর্জাতিক নিবাসে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বাইরে অন্য কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। ইজতেমাস্থলে প্রবেশের প্রতিটি পথে রয়েছে র্যাব-পুলিশ ও ইজতেমা কর্তৃপক্ষের নিজস্ব নিরাপত্তা নজরদারি। (কালের কন্ঠ)
বার্তা কক্ষ
১৬ ফেব্রুয়ারি,২০১৯