বিশেষ সংবাদ

বাংলাদেশি তরুণী মার্কিন সাংবাদিক তাসমিন মাহফুজের সফলতা

বাংলাদেশি তরুণী তাসমিন মাহফুজ জন্মেছেন ১৯৮৭ সালের ২৮ মে। জন্ম ও বেড়ে ওঠা যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচে। সাংবাদিকতার পাশাপাশি বিভিন্ন স্টেজ শো উপস্থাপন করে থাকেন।

বাবা আবদুল মাহফুজ, মা নাজমুন মাহফুজ এবং ভাই তামজিদ মাহফুজকে নিয়ে তাঁর পরিবার। তাসমিন মাহফুজ জন্মেছেন ১৯৮৭ সালের ২৮ মে।

জন্ম ও বেড়ে ওঠা যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচে। সাংবাদিকতার পাশাপাশি বিভিন্ন স্টেজ শো উপস্থাপন করে থাকেন। বাবা আবদুল মাহফুজ, মা নাজমুন মাহফুজ এবং ভাই তামজিদ মাহফুজকে নিয়ে তাঁর পরিবার।

জাতিসংঘে ইন্টার্নশিপ করার সময়ই টেলিভিশনে কাজের সুযোগ খুঁজছিলেন। টেলিভিশনের কাজের একটা সুবিধা হলো-সাধারণ মানুষের সঙ্গে মেশা যায়, যা তিনি ভালোবাসেন।

সাধারণ মানুষের গল্প তুলে ধরতে ভালো লাগে তাসমিনের। ছোটবেলায় টেলিভিশনে মায়ের শো দেখে তাসমিন টেলিভিশন সাংবাদিকতার মৌলিক নিয়মকানুনগুলো শিখেছিলেন। তুরস্কের সিহান নিউজ এজেন্সি তাঁকে টেলিভিশন সাংবাদিকতা করার সুযোগ দেয় ২০১২ সালে।

তাসমিনের প্রথম টেলিভিশন রিপোর্টের বিষয় ছিল তুরস্কের প্রসিদ্ধ মসজিদ ব্লু মস্ক। রমজান মাসে তা প্রচার করে সিহান। তাঁর রিপোর্টটি ছিল পর্যটক ও স্থানীয়দের মধ্যকার সাংস্কৃতিক যোগাযোগ বিষয়ে।

তখন তিনি অনেক পর্যটকের সঙ্গে ইফতারে বসেছেন এবং ইফতার ব্যবস্থাকারী সংস্থা দ্য সেন্টার ফর ক্রস কালচারাল কমিউনিকেশনের সঙ্গেও কথা বলেন। আয়োজকরা পর্যটকদের সঙ্গে রমজান এবং ইসলামী সংস্কৃতি নিয়ে আলাপ করেন।

২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে এবরু টেলিভিশনের আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কে নিউজ রিপোর্টার হিসেবে যোগ দেন। ২০১৪ সালের জুলাই পর্যন্ত সেখানে কাজ করেন।

বর্তমানে এবিসি ফোর উটাহ টেলিভিশনের সাংবাদিক এবং সাউদার্ন উটাহ ব্যুরো চিফ হিসেবে কাজ করছেন। প্রতিদিন প্রচারিত হয় তাঁর রিপোর্ট। তাঁর রিপোর্টগুলো অনলাইনেও পাওয়া যায়।

আমেরিকার উটাহতে স্টেশনটি চালু করেছেন তিনি নিজে, এর সব দায়ভারও তাঁর। দুই হাজার মাইল এলাকার দুই লাখের বেশি লোক এ স্টেশনের আওতায় আছে। শুটিং, ভিডিও সম্পাদনা এবং মাঠ থেকে রিপোর্টিং-সবই করেন তাসমিন।

এবরু টেলিভিশন চ্যানেলে যোগদানের প্রথম সপ্তাহেই হারিকেন স্যান্ডির আঘাতে ছিন্নভিন্ন নিউ জার্সির রিপোর্ট করেছিলেন। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন থেকে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান সম্পর্ক, ক্রিমিয়া সংকট এবং সিরিয়ার উন্নয়ন নিয়ে খবর এবং ব্রেকিং নিউজ প্রদান করেছিলেন।

তিনি নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। তাসমিন ইংরেজি, বাংলা, স্প্যানিশ, তুর্কি, হিন্দি ও উর্দু জানেন।

তাসমিন পেয়েছেন দ্য গ্রেসি অ্যাওয়ার্ড ফর আউটস্ট্যান্ডিং প্রোডিউসার ইন টিভি সিরিজ। অ্যাওয়ার্ডটি প্রদান করে উইমেন ইন মিডিয়া ফাউন্ডেশন।

যুক্তরাষ্ট্রে নারী মিডিয়াকর্মীদের স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে ১৯৭৫ সাল থেকে এ পুরস্কার প্রদান করে আসছে তারা। রেডিও ও টেলিভিশন তারকা গ্রেসি অ্যালেনের নামে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। এ ছাড়া তাসমিন উটাহ সোসাইটি অব প্রফেশনাল জার্নালিস্ট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।

তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ মিডিয়া জগতে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তাসমিনের ভূমিকা ক্রমান্বয়ে প্রশংসিত হওয়ায় তার মা-বাবাসহ কমিউনিটির সুধীরাও আপ্লুত। তবে তাসমিন নিজেকে বিশেষ কোনো গোত্র বা অঞ্চলের মধ্যে আটকে রাখতে চান না। তিনি নিজেকে বিশ্বের নাগরিক হিসেবে গণ্য করেন এবং মানবতার কল্যাণে সাংবাদিকতাকে প্রাধান্য দিচ্ছেন।

নিউজ ডেস্ক ।। আপডেট ১: ০১ এএম, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬, শনিবার
ডিএইচ

Share