বিশ্বে লুপাস রোগে আক্রান্ত রোগী রয়েছেন ৫০ লাখ। এ রোগের প্রকোপ মেয়েদের মধ্যে বেশি। প্রতি লাখে ২০ থেকে ১৫০ জনের লুপাস রোগ হতে পারে। এরমধ্যে কমবয়সী ৯০ শতাংশ নারী লুপাস রোগী। ৬৫ শতাংশ রোগীর বয়স ১৬ থেকে ৫৫ এর মধ্যে, ২০ শতাংশ ১৬ বছরের নীচে এবং ১৫ শতাংশ ৫৫ বছরের বেশী ।
বিশ্ব লুপাস দিবসে ডা. মিলন হলে আয়োজিত সচেতনতামূলক আলোচনা অনুষ্ঠান ও সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে জানানো হয়, লুপাস বা সিস্টেমিক লুপাস ইরাথেমেটোসাস (এসএলই) রোগের আক্রমণ অনেকটা আকস্মিক। দীর্ঘমেয়াদী রোগের ক্ষেত্রে আরো গুরুত্বপূর্ণ করণীয় হলো রোগের ইতিহাস ও গতি প্রকৃতি সম্পর্কে সকল তথ্য ধারাবাহিকভাবে সংরক্ষণ করা ও ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নেয়া।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো: শহীদুল্লাহ সিকদার।
লুপাস ফাউন্ডেশন অফ বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম এন আলম সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো: শারফুদ্দিন আহমেদ,উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান। রিউমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মিনহাজ রহিম চৌধুরী, ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো: আবদুর রহিম, অধ্যাপক ও লুপাস ফাউন্ডেশন অফ বাংলাদেশের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক।
লক্ষণ সমূহ সম্পর্কে হয়,লুপাস বিশ্বের অন্যতম রহস্যময় ও বিনাশী এক রোগ, যা মানব দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্ষতি সাধন করতে পারে। লুপাসের সাধারণ উপসর্গগুলো হলো-চুল পড়া, মাথা ব্যাথা, নাক ও গালের উপর প্রজাপতির পাখার মত লাল চাকা, চরম ক্লান্তি বা অবসাদ, জ্বর, মুখে বা নাকে ঘা, গিরায় ব্যাথা বা ফোলা, অস্বাভাবিক রক্ত জমাট, রক্তশূন্যতা, বুকের বা গভীর নিশ্বাসের সময় ব্যাথা, রোদ বা আলোয় শরীরের চামড়ায় প্রভাব বা জ্বালাপোড়া, ঠান্ডায় আঙ্গুল সাদা বা নীলাভ হয়ে যাওয়া এবং হাত, পা ও চোখের চারপাশে ফোলা ইত্যাদি।
শহীদুল্লাহ সিকদার বলেন, ‘লুপাস সম্পর্কে বাংলাদেশে মানুষের মধ্যে সুষ্পষ্ট ধারণা নেই। ফলে এ রোগ সনাক্ত হওয়ার পর রোগী ও পরিবার আক্রান্ত হয়। এ ধরণের রোগীদের দরদ, যত্ন ও ভালোবাসা দিয়ে সেবা দেয়ার পাশাপাশি চিকিৎসা ব্যয় যাতে রোগীর সামর্থ্যের মধ্যে থাকে তা বিবেচনায় রাখতে হবে। চিকিৎসকদের ওষুধ নির্বাচনের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, পারিপার্শ্বিক এ নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এবং কৃসংস্কার ও অনুমাননির্ভর ধারণা পাল্টে সচেতন একজন লুপাস রোগীর পক্ষে বেশ স্বাভাবিক জীবন-যাপন সম্ভব।
দিবসটি উপলক্ষে এবছর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ, সিলেট মেডিক্যাল কলেজ, রংপুর মেডিক্যাল কলেজ, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ এবং চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে লুপাস সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে নানা কর্মসূচি ও অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রিউমাটোলজি বিভাগ, লুপাস ফাউন্ডেশন অফ বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ রিউমাটোলজি সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে দিবসটি উপলক্ষে রোগীদের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট, গাইড বই বিতরণ করা হয়। (বাসস) :
বার্তা কক্ষ
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১২:১০ পিএম, ১১ মে ২০১৮,শুক্রবার
এজি