আন্তর্জাতিক

বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ১৬ লাখ ছাড়াল

বিশ্বে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭ কোটি ২১ লাখ ছাড়িয়েছে। অন্যদিকে, মৃত মানুষের সংখ্যা ১৬ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।

পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্য বলছে, আজ রোববার বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ বিশ্বে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭ কোটি ২১ লাখ ৩ হাজার ২২৩। একই সময় নাগাদ বিশ্বে করোনায় মোট মারা গেছেন ১৬ লাখ ১১ হাজার ৪৯২ জন।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্য বলছে, এখন পর্যন্ত বিশ্বে করোনা থেকে সেরে ওঠা মানুষের সংখ্যা ৫ কোটি ৪ লাখ ৮৯ হাজার ১৫০।

বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৬৫ লাখ ৪৯ হাজার ৩৬৬। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ৩ লাখ ৫ হাজার ৮২ জন।

ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়। ভারতে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯৮ লাখ ৫৭ হাজার ৩৮০। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ৪৩ হাজার ৫৫ জন।

ব্রাজিল আছে তৃতীয় অবস্থানে। ব্রাজিলে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৬৮ লাখ ৮০ হাজার ৫৯৫। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ৮১ হাজার ১৪৩ জন।

তালিকায় রাশিয়ার অবস্থান চতুর্থ। ফ্রান্স পঞ্চম। যুক্তরাজ্য ষষ্ঠ। ইতালি সপ্তম। তুরস্ক অষ্টম। স্পেন নবম। আর্জেন্টিনা দশম। তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ২৬তম।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।চীনে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি। তবে তার ঘোষণা আসে ১১ জানুয়ারি। চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে।

করোনার প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।গত ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে।১১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাস থেকে সৃষ্ট রোগের নামকরণ করে ‘কোভিড-১৯’।গত ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

বাংলাদেশ পরিস্থিতি

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল শনিবার পর্যন্ত দেশে মোট ৪ লাখ ৮৯ হাজার ১৭৮ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত দেশে সংক্রমণ শনাক্তের ২৮০ দিনে মোট ৭ হাজার ২০ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে সরকার।

এর বাইরে বাংলাদেশ পিস অবজারভেটরির (বিপিও) তথ্য অনুযায়ী, দুই হাজারের বেশি মানুষ কোভিড-১৯-এর উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।

মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় দেশে করোনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ। আর সুস্থ হওয়ার হার ৮৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্তের কথা জানায় সরকার।

এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করা হয়। শুরুর দিকে সংক্রমণ ছিল ধীর। মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ দ্রুত ছড়াতে শুরু করে। জুনে পরিস্থিতি খারাপ আকার ধারণ করে। জুন-জুলাই মাসে সংক্রমণ ও মৃত্যু ছিল সবচেয়ে বেশি। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে সংক্রমণ নিম্নমুখী ছিল। এ সময় মৃত্যুও কমেছিল। কিন্তু নভেম্বর থেকে আবার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে।

বার্তা কক্ষ,১৩ অক্টোবর ২০২০

Share