জ্বালানি নিয়ে হতভম্ভ জনজীবন। তীব্র গ্যাস সংকট চলছে দেশজুড়ে। আবাসিক, শিল্প, যানবাহন- এ তিন খাতেই বেড়েছে দুর্ভোগ। গ্যাস সংকটের সঙ্গে জ্বালানি তেলের দাম নিয়েও রয়েছে ভোক্তা সাধারণের মাঝে অস্বস্তি। বিশ্বে জ্বালানির তেলের দাম রেকর্ড পরিমাণ কমলেও কমছে না দেশের বাজারে।
তেলে উচ্চ মুনাফা করে আগের ক্ষতি পোষানোর কথা বললেও এখন উদ্বৃত্ত মুনাফা রয়েছে বিপিসির পকেটে। সরকারে আলোচনা হচ্ছে দাম কমানোর বিষয়ে। চলছে চিঠি চালাচালিও। তবে আপাতত দাম কমানোর কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। তেলের দাম কমলে বা আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় হলে তা দেশের সার্বিক অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। শিল্প ও বণিক সমিতিও তেলের দাম কমানোর দাবি তুলেছে।
সংকটের কারণে প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর আহ্বান জানাচ্ছে সরকার। যেসময় গ্যাস সংকটের কারণে শিল্প খাতেও তৈরি হয়েছে এক ধরনের অস্থিরতা। জ্বালানি খাতে অস্থিরতার কারণে বিনিয়োগে ভাটা পড়বে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
সর্বশেষ ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ব্যারেল জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে ১২২ ডলারে ওঠার পর বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়। সেই হারে বর্তমানে প্রতি লিটার অকটেন ৯৯ টাকা, পেট্রোল ৯৬ টাকা, কেরোসিন ও ডিজেল ৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এরপর গত দুই বছর ধরে জ্বালানি তেলের দাম ৪০ ডলারের নিচে নামলেও দাম সমন্বয় করেনি সরকার। সবশেষ তা ৩০ ডলারে নেমেছে। গত বছর সেপ্টেম্বরে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর আগে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের পরিকল্পনার কথা জানালেও পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এক অনুষ্ঠানে এর বিপক্ষে মত দেন।
গ্যাসের চাপ কমে যাওয়ার পেছনে জোগানের চেয়ে বেশি চাহিদাকে দায়ী করছেন দেশের সর্ববৃহৎ গ্যাস বিতরণকারী সংস্থাটির কর্মকর্তারা। তাদের মতে, শীত শেষ হলেও সংকট পুরোপুরি যাবে না। সার কারখানায় গ্যাস দেয়া বন্ধ হলেও অন্তত আড়াই হাজার শিল্প-কারখানা বসে আছে গ্যাসের সংযোগ ও লোড বৃদ্ধির জন্য। এসব শিল্পে গ্যাস সংযোগ ও গ্যাসের লোড বাড়ানো হলে গ্যাসের সংকট শিগগিরই দূর হবে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের দাবি, তাদের অঞ্চলে গ্যাসের চাহিদা রয়েছে ১৮৫০ এমসিএফ। এর বিপরীতে সরবরাহ রয়েছে ১৭৫০ এমসিএফ। জোগানের চেয়ে চাহিদা বেশি থাকার কারণেই গ্যাসের সংকট দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া শীত মৌসুমে গ্যাসের পাইপলাইনে গ্যাসের সহজাত উপাদান কনডেনসেট জমে যায়। এতে গ্যাসের স্বাভাবিক সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্টিবিউশন লিমিটেডের পরিচালক (অপারেশন) আলী আশরাফ গ্যাসের ঘাটতির কথা স্বীকার করে বলেন, শীতকাল গ্যাসের চাহিদা ২০ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ বেড়ে যায়।
তিনি জানান, এমনিতেই ৫০০ এমসিএফ দৈনিক ঘাটতি রয়েছে। আর শীতকালে চাহিদা বাড়ার ফলে সে অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ সম্ভব হয় না। পেট্রোবাংলা সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে দেশে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা রয়েছে তিন হাজার ২০০ এমসিএফ। আর এখন সরবরাহ করা হচ্ছে গড়ে দুই হাজার ৭০০ এমসিএফ। ফলে সারা দেশেই গ্যাসের সংকট তৈরি হয়েছে।
আর প্রতি সিলিন্ডার এলপিজিতে খরচ পড়ছে গড়ে দেড় হাজার টাকার মতো। জ্বালানি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত যে পরিমাণের গ্যাসের মজুদ আবিষ্কার করেছে তার প্রায় অর্ধেক ইতোমধ্যেই ফুরিয়ে গেছে। দেশে এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত ২৬টি গ্যাসক্ষেত্রে গ্যাসের মজুত নিরূপণ করা হয় ২৭ দশমিক ১২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। এর মধ্যে ১৩ দশমিক ৬৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসই ব্যবহার হয়ে গেছে। অবশিষ্ট আছে ১৩ দশমিক ৪৯ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত কয়েক বছরে দেশে নতুন গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান মেলেনি।
যদিও মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা-সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির পর সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল। তবে এখন পর্যন্ত তা কাজে লাগানো যায়নি। গ্যাসের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে তাই পুরনো ক্ষেত্র থেকেই উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। আবিষ্কৃত গ্যাসের মজুত, বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বিষয়ে সরকার চিন্তা-ভাবনা করছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে গত কয়েক দিন ধরে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানের গ্যাসের তীব্র সংকট তৈরি হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন ব্যবহারকারীরা। অনেক এলাকায় দিনে রান্না করার মতো গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। শিল্প কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। সিএনজি স্টেশনে গ্যাসের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে যানবাহনকে। এমন অবস্থায় সংশ্লিষ্টরা কোনো আশার কথা শোনাতে পারছেন না। উল্টো আবাসিক খাতে গ্যাস সংযোগ বন্ধের ইঙ্গিত মিলছে। পরামর্শ দেয়া হচ্ছে সিলিন্ডার ব্যবহারের।
জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয়ের দাবি ব্যবসায়ীদের
দেশের ব্যবসা বাণিজ্য ও শিল্প খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয়ের দাবি জানিয়েছেন দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) নেতারা। গতকাল রাজধানীর মতিঝিলে ফেডারেশন ভবনে এফবিসিসিআই আয়োজিত এক কর্মপরিকল্পনা সভায় সংঠনটির নেতারা এ দাবি জানান।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ। এ সময় প্রথম সহ-সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনসহ অন্য পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে দেশে গ্যাসের সংকট চলছে। যার কারণে ইতিমধ্যে অনেক কারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। অন্যদিকে বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম দফায় দফায় কমছে। কিন্তু আমাদের দেশে তেলের দাম এখনো কমানো হয়নি। এ অবস্থায় বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে দেশে তেলের দাম না কমালে বিনিয়োগ বাড়বে না। তারা বলেন, জ্বালানির দাম কমালে গ্যাসের বিকল্প হিসেবে তেল দিয়ে উৎপাদনে যাওয়া সম্ভব। এতে একদিকে দেশের সীমাবদ্ধ গ্যাসের সাশ্রয় হবে অন্যদিকে উৎপাদন খরচও কমে যাবে।
এফবিসিসিআই সভাপতি মাতলুব আহমাদ বলেন, আগে বাংলাদেশে বিদেশিরা বিনিয়োগ করবে শুনতাম। এখন সরাসরি বিনিয়োগের ঘোষণা দেন। ইতিমধ্যে ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশ বাংলাদেশে নতুন বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে। তবে বর্তমানে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধান কয়েকটি বাধা রয়েছে। এর মধ্যে ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদহার, জমি বরাদ্দ পেতে বেশি খরচ, যোগাযোগ ও অবকাঠামোগত সমস্যা, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারলে বিনিয়োগ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বাড়বে বলে আশা করেন তিনি। এসব সমস্যার সমাধানে সরকারের সঙ্গে এফবিসিসিআই সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে চলেছে।
প্রথম সহ-সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, সরকার সবসময় জ্বালানি তেলে ভর্তুকি দেয়। আন্তর্জাতিক ব্যারেল প্রতি তেলের দাম ১৩০ ডলার থেকে কমে ৩০ ডলারে নেমে এসেছে। এতে অন্যান্য দেশে উৎপাদন খরচ কমে আসছে। আর আমাদের এখানে এখনো তেলের দাম সমন্বয় করা হয়নি। তাই উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় আমরা পিছিয়ে পড়ছি। টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে।
বিনিয়োগ বাড়াতে জ্বালানি ও গ্যাস সংকট সমাধানে সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলেও জানান ব্যাবসয়ী নেতারা। তিনি বলেন, বর্তমানে গ্যাসের অভাবে বিনিয়োগে স্থবিরতা রয়েছে। আমাদের এখানে সুদের হার অনেক বেশি। মনে হয়, এটা বিশ্বে সুদ হার বেশি দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে। তেলের দাম কমে যাওয়ায় বিদেশি বিনিয়োগ কমে যাবে। এখন ঝুঁকি এড়াতে এসএমই খাতের উন্নয়ন করলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব।
এফবিসিসিআইর পরিচালক আবু নাসের বলেন, সাধারণত উদ্যোক্তারা বিনিয়োগের নিরাপত্তা, আইনের শাসন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। বর্তমানে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে। এ অবস্থা থাকলে ২০১৬ সাল হবে বিনিয়োগের বছর। অর্থপাচার নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, দেশ থেকে ৭৬ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে; আমরাও শুনেছি। কিন্তু বাস্তবতা হলো আইন দিয়ে কখনো টাকা ধরে রাখা সম্ভব নয়। দেশে যদি বিনিয়োগের সুষ্ঠু পরিবেশ থাকে তাহলে টাকা পাচার বন্ধ হবে। দেশের টাকা দেশে বিনিয়োগ হবে।
বাসা-বাড়িতে এলপিজি ব্যবহারের পরামর্শ
গ্যাস সংকটের কারণে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাসা-বাড়ির চুলা বন্ধ এবং সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতে ভোগান্তির মধ্যে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আবাসিক খাতে গ্যাস সরবরাহে সমস্যা থাকবেই। সরকার শিল্প কারখানায় গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে কাজ করছে জানিয়ে আবাসিক গ্রাহকদের তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম (এলপি গ্যাস) ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোকাররম ভবনে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আবাসিক খাতে গ্যাসের যে সমস্যাটা, আমি আগেই বলেছি, এই সমস্যা থাকবেই। আমরা চাচ্ছি আপনারা যারা আবাসিকে গ্যাস ব্যবহার করছেন, যারা ব্যবহার করছেন না, তারা ধীরে ধীরে এলপিতে চলে যান। কারণ অ্যাপার্টমেন্টে এখন এটা ব্যবহার করে পাইপলাইনেও ব্যবস্থা করা যায়।
ধীরে ধীরে গ্যাসের চাপ কমে আসায় সমস্যা তৈরি হচ্ছে মন্তব্য করে নসরুল হামিদ বলেন, আমাদের মেইন টার্গেট হলো পরিকল্পিত শিল্প এলাকায় সর্বপ্রথম গ্যাস সরবরাহ করা। আমরা সে জায়গার দিকে ধাবিত হচ্ছি। আমরা চাচ্ছি যে ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ যেন হয়, সেখানে যেন গ্যাস পাওয়া যায়। আবাসিক খাতে আগামী দিনে সবাই এলপিজিতে চলে যাক, আমরা এটা চাইছি।
আবাসিক খাত বাদ দিয়ে শুধু শিল্প খাতকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে কি না- এ প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি সেটাও বলছি না। আমরা চাইছি, যে পরিবর্তনটা আসছে, সেটার দিকে যেন সবাই ধাবিত হয়। আমরা চাইছি এলপিজি যাতে কাজে লাগে। সেটা সবার জন্য সাশ্রয়ী করার চেষ্টা হচ্ছে, সকলে যাতে সেটা পায়। আগামী তিন বছরে বাংলাদেশে আবাসিক চাহিদার ৭০ শতাংশ যাতে এলপিজি থেকে ব্যবহার করা যায়, সরকার সেই পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে বলে জানান তিনি।
শিল্প মালিকদের আশ্বস্ত করে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিল্প এলাকায় আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আমরা মালিকদের বলেছি, শিল্প এলাকায় যে পরিমাণ গ্যাস দরকার, হয়তো পাঁচ-ছয় মাস সময় লাগতে পারে, স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় আসতে সে সময়টা লাগবে। আর আবাসিক খাতে গ্যাসের যে এখন সমস্যা হচ্ছে, দুই-তিন দিনের মধ্যে তা কমে আসবে বলে আশা করছেন প্রতিমন্ত্রী।
বাখরাবাদ পাইপ লাইনে যে সমস্যা সেটার সমাধান করা হচ্ছে। এটার জন্য তিন-চারদিন লাগতে পারে। নসরুল হামিদ বলেন, ভবিষ্যতে এলপিজি ব্যবহার করলে এই চাপের সমস্যা থাকবে না। এলপিজি’র দাম এখন অনেক কমে গেছে এবং আরও কমাতে সরকার কাজ করছে। আবাসিক গ্রাহকদের এলপিতে যেতে বাধ্য করতে
‘কৃত্রিম সংকট’ তৈরি করা হচ্ছে কি-না জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দুয়েকটা শহর ছাড়া সব জায়গায় এলপি গ্যাস ব্যবহার হচ্ছে। তারা কীভাবে কী করছে? তারা নিশ্চয় কোনো না কোনোভাবে ব্যবস্থা করে নিচ্ছে। ঢাকা শহর তো পুরো বাংলাদেশ না, সেটা বুঝতে হবে। ৭০ শতাংশ জ্বালানি তো শহরের বাইরে। তারা কীভাবে জ্বালানি ব্যবহার করছে আমরা সেদিকে যাচ্ছি।
এর আগে নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে জাতীয় সেমিনার ও নবায়নযোগ্য শক্তি প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন নসরুল হামিদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শক্তি ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ সোলার এনার্জি সোসাইটি আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এম মুহতাশাম হোসেনকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। ঢাবি ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন। (মানবজমিন)
নিউজ ডেস্ক : আপডেট ১০:২৭ এএম, ২৮ জানুয়ারি ২০১৬, বুধবার
ডিএইচ