বিশ্বের ৩৫তম বৃহৎ অর্থনৈতিক শক্তি বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ও স্কলারদের উদ্দেশে বলেছেন, উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। আমরা এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহৎ অর্থনৈতিক শক্তি।

২০৩৭ সালের মধ্যে আমরা ২০তম হব। ২০২৬ সাল নাগাদ আমরা একটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত হব। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের প্রত্যাশা করছি।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এক ভার্চ্যুয়াল বক্তব্যে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও স্কলারদের উদ্দেশে এ কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ` আমি রাজনীতিতে এসেছি আমার পিতার স্বপ্ন অনুধাবন করে। স্বপ্নটি ছিল বাংলাদেশকে একটি সুখী, সমৃদ্ধিশালী দেশ হিসেবে গড়ে তোলা। যেখানে প্রত্যেকটি নাগরিক স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবে। আপনারা জেনে খুশি হবেন, আমরা এ স্বপ্ন পূরণের পথে অনেকটা পথ পাড়ি দিয়েছি। ২০২৬ সাল নাগাদ আমরা একটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত হব। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের প্রত্যাশা করছি। অতিদারিদ্র্যের হার এখন ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৬০ ডলারে।’

তিনি বলেন, করোনা মহামারির আগে আমাদের জিডিপি দাঁড়ায় ৬ দশমিক ৭ শতাংশে। যেখানে অন্য দেশগুলোর উৎপাদন কমে যাচ্ছিল, সেখানে আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এখন প্রবৃদ্ধির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ শতাংশে। শিল্প খাতে জিডিপি বৃদ্ধি বেড়ে ২২ শতাংশ থেকে ৩৭ শতাংশ হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৬ সালে গড় আয়ু ছিল ৫৯ বছর। এখন আমাদের গড় আয়ু ৭৩ বছর। একই সঙ্গে দ্রুত কমেছে শিশুমৃত্যু ও মাতৃমৃত্যু হার। দক্ষিণ এশিয়ায় লৈঙ্গিক সমতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন শীর্ষস্থানে।

বাংলাদেশের জিডিপির আকার এখন ৪৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অথচ ২০০৬ সালে জিডিপির আকার ছিল মাত্র ৬০ বিলিয়ন ডলার। রপ্তানি আয় বেড়েছে ৬০ বিলিয়ন ডলার। বেকারত্বের হার নেমে এসেছে ৩ দশমিক ২ শতাংশে। সাক্ষরতার হার বেড়েছে ৭৫ দশমিক ৬ শতাংশ।

১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৮ লাখ ৪০ হাজারের বেশি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে আমরা বিনামূল্যে জমি ও ঘর দিয়েছি। গত মাসে আমরাই দেশের প্রথম সর্বজনীন পেনশন চালু করেছি।

২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
এজি

Share