দুই বছর আগে ফ্রান্সে নির্মিত বিশ্বের সবচেয়ে বিলাসবহুল বাড়িটি যখন ৩০ কোটি মার্কিন ডলারে বিক্রি হয়, তখন সারা বিশ্বের সংবাদমাধ্যমের আগ্রহ ছিল বাড়িটির ক্রেতা কে তা নিয়ে। বাড়িটির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তথ্য প্রকাশ করা হলেও ক্রেতার নাম তখন গোপন রাখা হয়। তবে সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে বিস্ময়কর এই তথ্যটি।
কোনো শীর্ষস্থানীয় ধনকুবের নয়, বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল এই বাড়িটি কিনেছেন সৌদি আরবের পরাক্রমশালী ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদপত্র নিউ ইয়র্ক টাইম দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে এই চমকপ্রদ তথ্যটি প্রকাশ করেছে তাদের এক রিপোর্টে। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের উপকণ্ঠে ৫৭ একর জায়গার ওপর নির্মিত এই বাগান বাড়িটির নাম রাখা হয়েছে ‘শ্যাতো চতুর্দশ লুই’। ফরাসি ভাষায় শ্যাতো শব্দের অর্থ বাগান বাড়ি, আর চতুর্দশ লুই দেশটির সাবেক রাজা।
২০০৮ সালে এটির নির্মাণকাজ শুরু হয়ে শেষ হয়েছে ২০১১ সালে। অষ্টাদশ শতাব্দীর ফরাসি ঐতিহ্যের সাথে মিল রেখে নির্মাণ করা হয়েছে বাড়ির মূল ভবনটি। তবে পুরো বাড়িতে রয়েছে উন্নত প্রযুক্তির ছোঁয়া। বিশাল এই বাড়িটির চার দিকে রয়েছে গভীর লেক। লেকে ছাড়া হয়েছে জাপানের বিখ্যাত রঙিন কই মাছ। লেকের তলদেশের জীববৈচিত্র্য উপভোগের জন্য রয়েছে ভূগর্ভস্থ ‘ভিউইং চেম্বার’। বাড়িতে আছে হোম থিয়েটারসহ বিনোদনের সব উপাদান। আছে একটি ওয়াইন সেলারও। বাড়ির সামনে বিশাল আঙিনাজুড়ে কয়েকটি সুদৃশ্য কৃত্রিম ঝর্ণা। দুই পাশে সুবিশাল বাগান।
ফ্রান্স ও লুক্সেবার্গের কয়েকটি কোম্পানি যৌথভাবে বাড়িটি কিনেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানানো হলেও নিউ ইয়র্ক টাইমসের অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই কোম্পানিগুলোর মালিক একটি সৌদি প্রতিষ্ঠান, যার প্রধান বিন সালমান নিজেই। সৌদি রাজপরিবারে একজন উপদেষ্টাও শেষ পর্যন্ত স্বীকার করেছেন যে, বাড়িটির মালিক আসলে তাদের ক্রাউন প্রিন্সই।
শুধু এটিই নয়, ২০১৫ সালে ফ্রান্সে একটি বিলাসবহুল প্রমোদতরী কিনেছেন বিন সালমান যার মূল্য ছিল ৫০ কোটি মার্কিন ডলার। গত মাসেও বিখ্যাত ইতালীয় চিত্রশিল্পী লিওনার্দো দা ভিঞ্চির একটি ছবি তিনি কিনেছেন ৪৫ কোটি ডলারে।
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৫: ১০ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭, মঙ্গলবার
এএস