ফুল ফোটার মতই ছাতাগুলোতে ভাঁজ খুলে যায় এবং বন্ধও হয়ে যায়। এ ভাঁজ খোলা ও বন্ধ হওয়ার যথাযথভাবে হয় এবং একটির সঙ্গে আরেকটির সংঘর্ষের ঘটনা এড়িয়ে তা করা হয়।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ছাতা তৈরি করছে সৌদি আরব। আগামী বছর মসজিদ আল হারামে স্থাপন করা হবে ওই ছাতা। হাজিদের আরামের জন্য স্থাপন করা হবে ঐ ছাতা। ছাতাটির আয়তন হবে দৈর্ঘ্যে ৫৩ মিটার আর প্রস্থে ৫৩ মিটার। গ্রীষ্মের তাপদাহ থেকে ওই ছাতা পবিত্র হজ পালন করতে আসা লাখো হজযাত্রীকে রক্ষা করবে ।
মসজিদ আল হারামের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ আল-আহমাদী বলেন,‘ছাতাগুলো মসজিদের আঙিনা ও ছাদে স্থাপন করা হবে।’ মসজিদের ভেতরের অংশ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত থাকায় ছাতার বাইরের অংশ ঠান্ডা হবে বলে জানান তিনি।
জানা যায়, প্রয়াত বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ ২০১৪ সালে মদীনায় মসজিদে নববীর অনুরূপ মক্কায় মসজিদে হারাম আঙিনায় ৩শ’ ছাতা নির্মাণ সংক্রান্ত প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন। ক’ বছর ধরে মসজিদের পরিবর্ধনের কাজ চলছিল।
মুসুল্লিরা হারামের বাইরে তপ্ত গরমে সালাত আদায় করে থাকেন। তাই হারামের এলাকা সম্প্রসারণসহ মসজিদের আঙিনায় ৩শ’র বেশি ছাতা নির্মাণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল। ছাতাগুলো স্হাপন সম্পন্ন হলে মসজিদ চত্বরের ২ লাখ ৭৫ হাজার বর্গমিটার উন্মুক্ত জায়গা ছাতার আওতায় আসবে। এর আগে হাজীদের সুবিধার্থে মসজিদে নববীতে প্রায় আড়াইশ ছাতা স্হাপন করা হয়েছিল।
ছাতা ভাঁজ হওয়া বা বন্ধ করার স্বয়ংক্রিয় নীরব কর্মসূচির ফলে দৈনন্দিন তাপমাত্রা পরিবর্তন হয়। প্রতিদিন ভোরে ঈষৎ আলো বিশিষ্ট ছাদ তৈরি করার জন্যে খুলে দেয়া হয় এবং তা’সন্ধ্যায় অর্থাৎ সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে মাত্র তিন মিনিটের ব্যবধানে বন্ধ করা হয়।
গ্রীষ্মে উন্মুক্ত ছাতাগুলো দিনের বেলায় ছায়া দেয় এবং রাত্রীকালীন সময়ে বন্ধ করা হলে পাথেরের মেঝে কর্তৃক সেগুলোকে বাড়তি তাপ শুঁষে নেয়ার সুযোগ দেয়া হয়।
শীতে এই প্রক্রিয়ার উল্টোটা চলে। যখন তাপমাত্রা তুলনামূলক নিচে নেমে যায়, তখন উষ্ণতার জন্যে শীতকালীন সূর্যের আলো যাতে দিনের বেলায় উন্মুক্ত দেখা যায় সেজন্যে ছাতা বন্ধ রাখা হয়। মসজিদ পুরোটাই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এর ফলে হারাম চত্বরের তাপমাত্রাও নিচে নেমে যায় মসজিদে হারামের চত্বরে এ ছাতার ফলে হাজী ও মুসল্লিদের আরো অধিকতর সুবিধা হবে।
সাগর চৌধুরী,সৌদি প্রতিনিধি
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৪:১৫ পিএম,২৯ আগস্ট ২০১৭,মঙ্গলবার
এজি