বিশ্বের কোনো দেশের শিক্ষক আমাদের দেশের শিক্ষকদের মত অবহেলিত নয় : বাকশিস সভাপতি

বিশ্ব শিক্ষক দিবসে বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ মো.আজহারুল কবির বলেন, ‘বিশ্বের কোনো দেশের শিক্ষক আমাদের দেশের শিক্ষকদের মত অবহেলিত নয়। দেশের ৯৭ ভাগ শিক্ষা আমরা বেসরকারি শিক্ষকগণ সম্পন্ন করে থাকি। আমরা অনেক বড় বড় সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তা তৈরি করে যাচ্ছি | ’

৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতি হিসেবে শহিদ মুক্তিযোদ্ধা সড়কের অবস্থিত সংগঠনের অস্থায়ী অফিসে বাকশিস আয়োজিত সভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

এবারের বিশ্ব শিক্ষক দিবস ২০২৩ এর প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ” কাংখিত শিক্ষার জন্যে শিক্ষক স্বল্পতাপূরণের বৈশ্বিক অপরিহার্যতা ।’’ প্রতি বছরের মতো এ প্রতিপাদ্য নিয়ে বিশ্ব শিক্ষক দিবস ২০২৩ সালের ৫ অক্টোবর পালিত হলো। বিশ্ব শিক্ষক দিবসে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র‌্যালি-সেমিনার করার নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।শিক্ষার্থী,অভিভাবক ও অংশীজনদের সাবেক-বর্তমান শিক্ষক নিয়ে র‌্যালি, আলোচনা সভা ও সেমিনার করার নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

আলোচনায় তিনি আরো বলেন, ‘আমরা শিক্ষকগণ বর্তমানে হতাশায় ভুগছি। শিক্ষকদের মধ্যে একটি প্রবণতা রয়েছে- যা হলো -শুধু পেতে চায়।আমাদের অর্থনৈতিক উন্নতি করতে চাইলে আমাদের সংগঠিত হতে হবে। বাকশিসসহ অন্যান্য কয়েকটি শিক্ষক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে আগামি ১১ অক্টোবর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।্’

বাকশিসের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো.মেজবাহউদ্দিনের পরিচালনায় শিক্ষকদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন বাকশিসের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মনিরুল হক পাটোওয়ারী , অধ্যক্ষ মো.হায়দার আলী ,সাংগঠনিক সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক মো.জাহাঙ্গীর আলম,বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রিয় সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন,জেলার সভাপতি মো.বিলাল হোসেন, সহকারী অধ্যাপক আবদুস সামাদ,সহকারী অধ্যাপক মানব মিশ্র,সহকারী অধ্যাপক শাহ আলী,সহকারী অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক মো.আলমগীর হোসেন ,বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির সদরের সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন ঢালী ও সাবেক সহ-সভাপতি আবদুল গনি।

বক্তাগণ বলেন, শিক্ষক দিবস পালনের জন্যে সরকারি ভাবে নির্দেশ দেয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানান। শিক্ষকতা হচ্ছে মহান পেশা। পৃথিবীতে যতগুলো পেশা রয়েছে তার মধ্যে শিক্ষকতাকে মর্যাদার চোখে দেখতে হয়। পৃথিবীতে মা-বাবার পরের স্থান হচ্ছে শিক্ষকের। শিক্ষককে দ্বিতীয় বাবা-মা বলা যায়। সমাজে শিক্ষকের ভূমিকা অপরিসীম। শিক্ষক সমাজকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলার কারিগর। শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মাঝে মূল্যবোধ ও নৈতিকতার সৃষ্টি করে, যার ফলে একজন শিক্ষার্থী সুন্দর মানুষ হয়ে গড়ে ওঠে , সমাজ ও দেশের প্রতি দায়িত্বশীল ও শ্রদ্ধাশীল হয়।

শিক্ষকের এসব কৃতিত্বের স্বীকারোক্তির জন্য তাদের স্মরণ করার জন্য ও কল্যাণ কামনার জন্য এবং শিক্ষকের যে গুরুত্ব সেটা স্বীকার করার জন্য প্রতিবছর ৫ অক্টোবর তাদের সম্মানার্থে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত হয়। সমাজে শিক্ষকের ভূমিকা অপরিসীম। শিক্ষকের এসব কৃতিত্বের স্বীকারোক্তির জন্য তাদের স্মরণ করতে ও কল্যাণ কামনার জন্য এবং শিক্ষকের যে গুরুত্ব সেটা স্বীকার করার জন্য প্রতিবছর ৫ অক্টোবর তাদের সম্মানার্থে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত হয়ে আসছে।

আবদুল গনি
৫ অক্টোবর ২০২৩

Share