বিশ্ববিদ্যালয়ে গাঁজা চাষ : দু’ছাত্রলীগ নেতা বহিস্কার

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় দুই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে টবে রেখে গাঁজা চাষ করার দায়ে সংগঠন থেকে তাঁদের সাময়িক বহিষ্কার করেছে (জাবি) শাখা ছাত্রলীগ।

শুক্রবার (১২ বিকেলে জাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুর রহমান জনি ও সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহমেদ রাসেলের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বহিষ্কৃতরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপ-ত্রাণ ও দুর্যোগবিষয়ক সম্পাদক মো. রইছ (সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যায়ন, ৪১ ব্যাচ) ও ছাত্রলীগকর্মী মো. রাসেল (রসায়ন, ৪১ ব্যাচ)।

এই দুই নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ রফিক-জব্বার হলে নিজেদের কক্ষের জানালার পাশে টবে গাঁজা চাষের সংবাদের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে সংগঠন থেকে তাদের সাময়িক বহিষ্কার করেছে শাখা ছাত্রলীগ।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার হেরোইন সেবনরত অবস্থায় দুই শিক্ষার্থীকে হাতেনাতে ধরে প্রশাসনের কাছে তুলে দেয় শাখা ছাত্রলীগ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁদের সাময়িক বহিষ্কার করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।

গাঁজা চাষের অভিযোগে বহিষ্কৃত ছাত্রলীগের দুই নেতাকর্মী নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন। তাঁরা বলেন, রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে ষড়যন্ত্র করে তাঁদের বিরুদ্ধে এ ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হয়েছে।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ রফিক-জব্বার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবু দায়েন বলেন, খোঁজখবর নিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে হল প্রশাসনও ব্যবস্থা নেবে।

এ বিষয়ে জাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহমেদ রাসেল বলেন, ‘ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে আছে। বৃহস্পতিবার দুজনকে মাদক গ্রহণকালে আমরা আটক করে প্রশাসনের কাছে দিয়েছি। শুক্রবার আমাদের দুই নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ায় আমরা তাঁদের সাময়িক বহিষ্কার করেছি। এ ব্যাপারে কেউ ছাড় পাবে না।’

ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুর রহমান জনি বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার আছি। নিজেদের লোকও যদি মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকে, তাদেরও ছাড় দেওয়া হবে না।’

মাদকবিরোধী সচেতন ছাত্রসমাজের উপদেষ্টা লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক জেবউননেছা বলেন, ‘ছাত্র সংগঠনগুলো যদি এগিয়ে আসে তাহলে ক্যাম্পাসকে খুব দ্রুত মাদকমুক্ত করা সম্ভব। আমার বিশ্বাস, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই মাদক নেয় না। গুটিকয়েক শিক্ষার্থীর জন্য পুরো পরিবেশটা দূষিত হয়।’ (এনটিভি)

Share