নভেল করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসটি বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে প্রতিনিয়ত আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে । সেই সাথে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। এখন পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা ৩ লাখ ৬৭ হাজারের কাছাকাছি।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যমতে, এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (আজ ৩০ মে, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা) সারাবিশ্বে ৬০ লাখ ৩১ হাজার ২৩ জন নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ইতোমধ্যে ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৮১২ জন মারা গেছেন। বিপরীতে সুস্থ হয়েছেন ২৬ লাখ ৫৯ হাজার ২৭০ জন।
এছাড়া এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩০ লাখ ৪ হাজার ৯৪১ জন । এদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় আছেন ৫৩ হাজার ৭৩৪ জন।
আক্রান্ত ও প্রাণহানির হিসেবে শীর্ষে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ লাখ ৯৩ হাজার ৫৩০ জন। যাদের ১ লাখ ৪ হাজার ৫৪২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫ লাখ ১৯ হাজার ৫৬৯ জন। ১১ লাখ ৬৯ হাজার ৪১৯ জন বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন, এদের ১৭ হাজার ২০৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আক্রান্তের হিসেবে দ্বিতীয় ও মৃতের হিসেবে পঞ্চম অবস্থানে উঠে এসেছে ব্রাজিল। লাতিন আমেরিকার বৃহৎ এ দেশটিতে করোনার সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এখন পর্যন্ত সেখানে আক্রান্ত ৪ লাখ ৪৮ হাজার ৩৩৮ জন ও মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ৯৪৪ জনের। বিপরীতে ১ লাখ ৯৩ হাজার ১৮১ জন সুস্থ হয়েছেন। এখনো চিকিৎসাধীন ২ লাখ ৪৭ হাজার ২১৩ জন, যাদের ৮ হাজার ৩১৮ জন আছেন গুরুতর অবস্থায়।
আক্রান্তের হিসেবে তৃতীয় অবস্থানে আছে রাশিয়া। সেখানে আক্রান্ত ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৬২৩ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৩৭৪ জনের। দেশটিতে সুস্থ ১ লাখ ৫৯ হাজার ২৫৭ জন, চিকিৎসাধীন ২ লাখ ২৩ হাজার ৯৯২ জন ও গুরুতর অবস্থায় আছেন ২ হাজার ৩০০ জন।
আক্রান্তের হিসেবে চতুর্থ ও ও মৃতের হিসেবে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে স্পেন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ২ লাখ ৮৫ হাজার ৬৪৪ জন ও মোট মৃত ২৭ হাজার ১২১ জন। অবশ্য সেখানে ১ লাখ ৯৬ হাজার ৯৫৮ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এখনো চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৬১ হাজার ৫৬৫ জন । যাদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় আছেন ৬১৭ জন।
আক্রান্তের হিসেবে পঞ্চম হলেও মৃতের হিসেবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য। সেখানে ২ লাখ ৭১ হাজার ২২২ জন প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৩৮ হাজার ১৬১ জন। এখনো ১ হাজার ৫৫৯ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মৃতের হিসেবে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ইতালি রয়েছে আক্রান্তের হিসেবে ষষ্ঠ স্থানে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ২ লাখ ৩২ হাজার ২৪৮ জন। এদের ৩৩ হাজার ২২৯ জন মারা গেছেন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ লাখ ৫২ হাজার ৮৪৪ জন। এখনো চিকিৎসাধীন ৪৬ হাজার ১৭৫ জন, যাদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় আছেন ৪৭৫ জন।
আক্রান্তের হিসেবে সপ্তম স্থানে থাকা ফ্রান্স আছে মৃতের হিসেবে চতুর্থ স্থানে। সেখানে মোট আক্রান্ত ১ লাখ ৮৬ হাজার ৮৩৫ জন। এদের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন ২৮ হাজার ৭১৪ জন। দেশটিতে সুস্থ হয়েছেন ৬৭ হাজার ৮০৩ জন করোনারোগী। এখনো চিকিৎসাধীন ৯০ হাজার ৩১৮ জন, যাদের ১ হাজার ৩৬১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এছাড়া বেলজিয়ামে ৯ হাজার ৪৩০ জন, মেক্সিকোতে ৯ হাজার ৪১৫ জন, জার্মানিতে ৮ হাজার ৫৯৪ জন, ইরানে ৭ হাজার ৬৭৭ জন, কানাডায় ৬ হাজার ৯৭৯ জন, নেদারল্যান্ডসে ৫ হাজার ৯৩১ জন, ভারতে ৪ হাজার ৯৮০ জন, চীনে ৪ হাজার ৬৩৪ জন, তুরস্কে ৪ হাজার ৪৮৯ জন, সুইডেনে ৪ হাজার ৩৫০ জন, পেরুতে ৪ হাজার ২৩০ জন, ইকুয়েডরে ৩ হাজার ৩৩৪ জনের প্রাণ কেড়েছে কোভিড-১৯ নামের ভাইরাসটি।
আর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সুইজারল্যান্ডে মারা গেছে ১ হাজার ৯১৯ জন, আয়ারল্যান্ডে ১ হাজার ৬৪৫ জন, ইন্দোনেশিয়ায় ১ হাজার ৫২০ জন, পর্তুগালে ১ হাজার ৩৮৩ জন, পাকিস্তানে ১ হাজার ৩১৭ জন, রোমানিয়ায় ১ হাজার ২৪৮ জন, পোল্যান্ডে ১ হাজার ৫১ জন, চিলিতে ৯৪৪ জন, ফিলিপাইনে ৯৪২ জন, মিসরে ৮৭৯ জন, জাপানে ৮৭৪ জন, কলম্বিয়ায় ৮৫৩ জন, ইউক্রেনে ৬৭৯ জন, অস্ট্রিয়ায় ৬৬৮ জন, আলজেরিয়ায় ৬৩৮ জন, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৬১১ জন, বাংলাদেশে ৫৮২ জন, ডেনমার্কে ৫৬৮ জন, হাঙ্গেরিতে ৫১৭ জন, আর্জেন্টিনায় ৫২০ জন, ডোমিনিকান রিপাবলিকে ৪৮৮ জন, সৌদি আরবে ৪৫৮ জন, পানামায় ৩২৬ জন, চেক রিপাবলিকে ৩১৯ জন, বলিভিয়ায় ৩০০ জন, মালদোভায় ২৮৮ জন, ইসরায়েলে ২৮৪ জন, দক্ষিণ কোরিয়ায় ২৬৯ জন, নাইজেরিয়ায় ২৬১ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২৬০ জন, আফগানিস্তানে ২৪৬ জন, সার্বিয়ায় ২৪২ জন, নরওয়েতে ২৩৬ জন, সুদানে ২৩৩ জন, বেলারুশে ২২৪ জন, মরক্কোতে ২০২ জন ।
আন্তজার্তিক ডেস্ক , ৩০ মে ২০২০