কাতার থেকে বিশ্বকাপ জয়ের পর আর মাঠে নামা হয়নি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার। এবার আর ভক্ত-সমর্থকদের অপেক্ষায় থাকতে হবে না। খুব শিগগিরই আর্জেন্টিনাকে মাঠে নামতে দেখা যাবে।
এ মাসেই ঘরের মাঠে পানামার বিরুদ্ধে খেলবে আর্জেন্টিনা। ২৩ মার্চ সেই ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে বুয়েন্স আইরর্সের এস্টাডিও মাস মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে। বিশ্বকাপ জয়ের পর আর্জেন্টিনা ফিরে বিশাল সংখ্যক সমর্থকদের মাঝে হুডখোলা বাসে ঘুরছিলেন আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা। এবার ঘরের মাঠে খেলতে নামলেও সেই বিশাল সমর্থন পাওয়ার আশা করবেন লিওনেল মেসিরা। পানামার বিরুদ্ধে আর্জেন্টিনার ম্যাচটি হবে আন্তর্জাতিক ফ্রেন্ডলি।
শুধু পানামা নয়, আর্জেন্টিনা খেলবে কুরাকাওয়ের বিরুদ্ধেও। ২৮ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে সেই ম্যাচ। খেলা হবে সান্তিয়াগো ডেল এস্তেরোতে। এ ম্যাচ দু’টি কয়টা শুরু হবে তা এখনও জানানো হয়নি। তবে বিশ্বকাপ জয়ের পর আর্জেন্টিনার প্রথম ম্যাচ দেখার জন্য যে উৎসাহ থাকবে তা নিয়ে সন্দেহ নেই। যতই সেই ম্যাচ পানামার মতো কম শক্তিশালী দেশের বিরুদ্ধে হোক।
এই দুটি প্রীতি ম্যাচের জন্য এরই মধ্যে ৩৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি। যেখানে সুযোগ পেয়েছেন ম্যানইউর ১৮ বছর বয়সী উইঙ্গার আলেজান্দ্রো গারনাচো।
স্পেনের হয়েও খেলার সুযোগ ছিল গারনাচোর। তার জন্ম স্পেনে। তবে মা আর্জেন্টাইন। এ কারণে দুই দেশের যে কোনো একটির হয়ে খেলতে পারেন তিনি। যদিও অনুর্ধ্ব-১৮ ফুটবল তিনি খেলেছেন স্পেনের হয়ে এবং অনুর্ধ্ব-২০ ফুটবল খেলেছেন আর্জেন্টিনার হয়ে।
গত বছরই একবার স্পেন না আর্জেন্টিনা, কোন দেশের হয়ে খেলবেন এ প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছিলো গার্নাচোকে নিয়ে। শেষ পর্যন্ত কোচ লিওনেল স্কালোনি গারনাচোকে আর্জেন্টিনা দলেই ডেকে নেন। যদিও বিশ্বকাপের স্কোয়াডে ছিলেন না এবং আর্জেন্টিনার হয়ে অভিষেকও হয়নি তার।
অবশেষে বিশ্বকাপের পর এবার আবারও আর্জেন্টিনা দলে ডাক পেলেন গার্নাচো। পানামা এবং কুরাকাওয়ের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে খেলবেন তিনি।
কাতারে ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছিল আর্জেন্টিনা। সেই ম্যাচ টাইব্রেকারে জেতেন মেসিরা। আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজের দাপট দেখেছিল গোটা বিশ্ব। তার হাতেই আটকে যান ফ্রান্সের ফুটবলাররা। ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জেতে আর্জেন্টিনা।
আর্জেন্টিনার ৩৫ সদস্যের স্কোয়াড
গোলরক্ষক: ফ্রাঙ্কো আরমানি, জার্মিনো রুলি, এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।
ডিফেন্ডার: জুয়ান ফয়েথ, গঞ্জালো মন্টিয়েল, নাহুয়েল মোলিনা, নেহুয়েন পেরেজ, জার্মান পেজেল্লা, ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো, নিকোলাস ওতামেন্দি, লিসান্দ্রো মার্টিনেজ, নিকোলাস তালিয়াফিকো, মার্কোস আকুনা, লওতারো ব্লাঙ্কো।
মিডফিল্ডার: লিয়ান্দ্রো পেরেদেস, গুইদো ফার্নান্দেজ, এনজো ফার্নান্দেজ, ম্যাক্সিমো পেরোন, এজেকুয়েল পালাসিওস, রদ্রিগো ডি পল, ফাকুন্দো বুয়োনানোত্তে, থিয়াগো আলমাদা, অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া, অ্যাঞ্জেল কোরেয়া, এমিলিয়ানো বুয়েন্দিয়া, ভ্যালেন্টিন কার্বোনি।
ফরোয়ার্ড: লিওনেল মেসি, পাওলো দিবালা, লওতারো মার্টিনেজ, হুলিয়ান আলভারেজ, অ্যালেজান্দ্রো গার্নাচো, নিকোলাস গঞ্জালেজ, আলেজান্দ্রো গোমেজ।
টাইমস ডেস্ক/ এএস/ ৫ মার্চ ২০২৩