• বিশ্বকাপের আগে মস্কোতে অনুষ্ঠিত হবে খুদে ফুটবল উৎসব।
• সেখানে একজন ডিফেন্ডার হিসেবে অংশগ্রহণ করবে বাংলাদেশের রাফি।
• একই প্রোগ্রামের অধীনে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচটিও দেখবে সে।
বিশ্বকাপ ফুটবলের কথা শুনলেই রোমাঞ্চ জাগে মনে। ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ বাক্যটি দিয়ে যে আসরকে চিত্রিত করা হয়, সেটি তো রোমাঞ্চ জাগাবেই। বিশ্বের সেরা ফুটবলারদের বেশির ভাগই যে আসরকে আলোকিত করবেন, সেখানে বাংলাদেশের উপস্থিতি দূরতম স্বপ্নই। কিন্তু জুনে রাশিয়ায় শুরু হতে যাওয়া এবারের বিশ্বকাপে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেই অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশের কিশোর গোলাম রাফি।
বিশ্বকাপের আগে মস্কোতে ২১১টি দেশের খুদে প্রতিনিধিদের নিয়ে শুরু হবে ফুটবল উৎসব, যার পোশাকি নাম গ্যাজপ্রম ইন্টারন্যাশনাল চিলড্রেনস সোশ্যাল প্রোগ্রাম। সেখানে ৩২টি দলে ভাগ হয়ে খেলবে খুদে খেলোয়াড়েরা। সেখানেই ডিফেন্ডার হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে ১২ বছর বয়সী নারায়ণগঞ্জের রাফি। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন আয়োজিত খেলোয়াড় বাছাই পরীক্ষায় ২০০ জন ডিফেন্ডারের মধ্যে সেরা হয়েই মস্কোর টিকিট পেয়েছে সে। আয়োজকদের শর্তই ছিল বাংলাদেশ থেকে পাঠাতে হবে একজন ডিফেন্ডার।
মজার বিষয় হলো, রাফির ছোট ভাই গোলাম রাব্বী গত বছর কনফেডারেশন কাপ উপলক্ষে একই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেছিল স্ট্রাইকার হিসেবে, যা অনুষ্ঠিত হয়েছিল পিটার্সবার্গে। রাব্বী ও রাফি দুজনে যমজ ভাই। বয়সের ব্যবধান তিন মিনিট। তাদের বাবার নাম বশির উদ্দিন রতন ও মা মেহবুবা রতন।