শীর্ষ সংবাদ

বিলুপ্তির পথে হারিকেন : মেঘনার চরগুলোতে ঘরে ঘরে জ্বলছে আলো

চাঁদপুরে মেঘনার দুর্গম চরে পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন। সেখানে এখন ঘরে ঘরে বিদ্যুতের বাতিও জ্বলছে। এতে চরবাসীর জীবনযাপনে লেগেছে পরিবর্তনের হাওয়া। মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্নপ্রায় এমন কয়েকটি চরে বিদ্যুৎ সংযোগ নতুন করে আশার আলো জাগিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। পাশের জেলা শরীয়তপুর থেকে নদীর তলদেশ দিয়ে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে চরগুলোতে এই বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে।

রাতের অন্ধকার কাটাতে এক সময় কুপি কিংবা হারিকেনের আলোই ছিল চরবাসীর মূল ভরসা। কিন্তু এখন তা অতীত হতে চলেছে। কারণ, দুর্গম চরে পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ সংযোগ। আর সেই সংযোগে ঘরে ঘরে জ্বলছে আলো।

চাঁদপুরে হাইমচর উপজেলার মেঘনা নদীর পশ্চিমপাড়ে ঈশানবালা ও তার আশপাশে এখন এমন দৃশ্যই চোখে পড়বে। নদীর তলদেশে এক চর থেকে অন্য চরে সাবমেরিন ক্যাবল দিয়ে এই বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন চলে গেছে। এতে শুধু রাতের অন্ধকারই দূর হয়নি, আলোকিত হতে শুরু করেছে কয়েকটি চরের পরিবেশও। বাতি জ্বালানোর পাশাপাশি অন্য কাজেও সেখানে বিদ্যুৎ ব্যবহার হচ্ছে। আর বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়ে দারুণ খুশি ২০ হাজারেরও বেশি চরবাসী।

চরবাসী জানায়, আমাদের এ এলাকায় বিদ্যুৎ আসায় অনেক উপকৃত হয়েছি। ফোন চার্জ দিতে এখন আমাদের অন্য জায়গাতে যেতে হয় না। সরকারের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।

চলতি বছরের মধ্যে হাইমচরের নীলকমল ইউনিয়নের সবগুলো চরে বিদ্যুৎ সরবরাহ পৌঁছে দিতে কাজ করছে শরীয়তপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি। দুর্গমচরে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দেবার জন্য সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।

চাঁদপুর হাইমচর নীলকমল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সালাহউদ্দিন সর্দার বলেন, বিদ্যুৎ এসে মানুষ অনেক উপকৃত হয়েছে। এলাকায় উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে।

শরীয়তপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি’র সহকারী উপমহাব্যবস্থাপক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, মেঘনার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে ১০.৭৫ কিলোমিটার স্পটে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে প্রায় আট হাজার গ্রাহককে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে।

চাঁদপুরের হাইমচরের ঈশানবালায় প্রায় ১১ কিলোমিটার সাবমেরিন ক্যাবল লাইনের মাধ্যমে ৮ হাজার গ্রাহক এই বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছেন।

করেসপন্ডেট,১৫ মার্চ ২০২০

Share