চাঁদপুরে এক বিরল টিউমার নিয়ে মোহাম্মদ নামে এক শিশুর জন্ম হয়েছে। ১৪ দিন বয়সী এই নবজাতকের এমন বিরল প্রজাতির টিউমার দেখে তার মাতা তাসলিমা আক্তার ওই নবজাতককে ফেলে বাপের বাড়ি চলে গেছেন।
এদিকে এই নিষ্পাপ অবুঝ শিশুকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল থেকে বিভিন্ন দ্বার প্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তার অসহায় চাচা ও ফুফুরা।
জানা যায়, চাঁদপুর শহরের দক্ষিণ গুনরাজদী এলাকার মিলন গাজির স্ত্রী তাসলিমা বেগমের গর্ভ থেকে এই মোহাম্মদ নামের এই শিশু জন্মগ্রহণ করেন।
শিশুর বড় চাচা সুমন গাজী জানান, তার দিনমজুর ছোট ভাই মিলন গাজীর স্ত্রী তাসলিমা বেগমের গত ১৩ মে চাঁদপুর মা ও শিশু হাসপাতালে সিজারিয়ানের মাধ্যমে শিশুটি জন্মগ্রহণ করে। জন্মের পর পরই চিকিৎসকরা ওই শিশুর পেটের সাথে সংযুক্ত এই বিকলাঙ্গ,বিরল প্রজাতির টিউমারটি দেখতে পান।
কিন্তু শিশুটির এমন বিকলাঙ্গ বিরল প্রজাতির টিউমারটি দেখে গর্ভধারিনী তাসলিমা আক্তার তাকে হাসপাতালে রেখেই তার বাপের বাড়ি চলে যায়। পরে তারা তাকে বাঁচানোর চেষ্টায় সেখান থেকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা শিশু হাসপাতালে নিয়ে যান।
সুমন গাজী আরো জানান, শিশু হাসপাতালের এক শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, জানিয়েছেন শিশুটির পেটের সাথে সংযুক্ত বিরল প্রজাতির বিকৃত আকারের যে অংশটি রয়েছে। সেটি হচ্ছে ক্যাস্ট্রোলা টিউমার। ভালো এবং উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে তার অপারেশন করালে শিশুটিকে বাঁচানো সম্ভব হতে পারে। তবে এতে করে অনেক অর্থের প্রয়োজন। শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক তাদেরকে ওই হাসপাতলে শিশুটিকে তিন মাস রেখে চিকিৎসা করানোর পর তার অপারেশন করানো যাবে বলে পরামর্শ দিয়েছেন।
কিন্তু তাদের তেমন সামর্থ্য না থাকায় তারা শিশুটিকে সেখান থেকে পুনরায় চাঁদপুরে নিয়ে আসেন। এখানে তারা শিশুটিকে নিয়ে কখনো চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল, কখনো বিভিন্ন চিকিৎসকের দ্বারপ্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাই এই বিরল প্রজাতির টিউমার নিয়ে জন্মানো শিশুটির পরিবারের আবেদন কেউ যদি তার চিকিৎসা সেবায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে তাদেরকে আর্থিক সহযোগিতা করেন, তাহলে হয়তো সঠিক চিকিৎসা সেবা ও অপারেশনের মাধ্যমে এই নিষ্পাপ শিশুটি কে বাঁচানো সম্ভব হবে।
প্রতিবেদক:কবির হোসেন মিজি,২৭ মে ২০২১