চাঁদপুর

‘বিভাজন সৃষ্টি করায় চাঁদপুরে বিএনপির অবস্থান আগের মতো নেই’

চাঁদপুর জেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে আনন্দঘন ও উৎসবমূখর পরিবেশে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় চাঁদপুর ক্লাব মিলনায়তনে ঈদ পূনর্মিলনী হয়েছে।

অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এর আগে নেতাকর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে যোগদান করেন।

বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শফিকুর রহমান ভূইয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাড. ইকবাল বিন বাশার।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাড. ইকবাল বিন বাশার বলেন, একটা সময় সারা দেশের মধ্যে চাঁদপুর জেলা- বিএনপি’র ঘাঁটি হিসেবে পরিচিতি ছিলো। অথচ বর্তমানে একটি গ্রুপ এখানে দলের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে পোড় খাওয়া নেতাকর্মীদের দূরে সরিয়ে রাখছে। যার ফলে বর্তমানে চাঁদপুর বিএনপি আর আগের অবস্থানে নেই।

তিনি আরো বলেন, আমি বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতাদের অনুরোধ করবো, দলের মধ্যে কোনো প্রকার বিভেদ না করে, অসাংগঠনিকভাবে নেতাকর্মীদের বহিষ্কার না করে দলকে ঐক্যবদ্ধ এবং শক্তি শালী করে তুলুন। আমরা অতিতের ন্যায় আবারো দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে এদেশের গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়বো।

সভাপতির বক্তব্যে শফিকুর রহমান ভূইয়া বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার একটি পাতানো নির্বাচনের মধ্যদিয়ে এদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে অলিখিত সৈরশাসন চালু করেছে। আওয়ামী লীগ ও তাদের পোটেয়াবাহিনী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা এবং গুম-করছে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের কোনো মানুষে আজকে নিরাপদ নেই। মানুষের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার এবং কি কথা বলার অধিকারও নেই। এজন্য আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারকে বিতারিত করতে হলে আগামী দিনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

অন্যান্য বক্তারা বলেন, ভাসমান লোকেরা বেশিদিন একস্থানে থাকতে পারে না। চাঁদপুরে এমন কিছু ভাসমান নেতার অর্বিভাব হয়েছে। তারা টাকার জোরে নেতা হয়েছেন এবং অচিরেই তারা শুণ্যে ভেসে যাবেন। যারা মাঠে ময়দানে রাজনীতি করে নেতা হয়েছেন তারা রাজপথে আছেন এবং থাকবেন।

বক্তারা আরো বলেন, একটি গ্রুপ চাঁদপুর জেলা বিএনপির অগোছালো সংগঠনের পরিনত করে রেখেছে। তারা সরকারি দল আর প্রশাসনের সাথে আঁতাত রেখে জেলা বিএনপিকে একটি মেরুদন্ডহীন সংগঠনে পরিণত করার চক্রান্ত করছে। তারা দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের দূরে সরিয়ে রেখে নিজেদের কিছু আজ্ঞাবহ লোকদের দলের পোস্ট-পদবি দিয়ে নেতা বানাচ্ছে। এদের কাছ থেকে আমাদের সর্তর্ক থাকতে হবে। আগামী দিনে বেগম খালেদা জিয়া যে আন্দোলনের ডাক দিবেন সে আন্দোলনে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে ঝাপিয়ে পরার আহ্বান রাখেন নেতৃবৃন্দরা।

জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী গোলাম মোস্তফা ও খলিলুর রহমান গাজীর যৌথ পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন খান বাবুল, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শাহনেওয়াজ খান, চাঁদপুর সরকারি কলেজের সাবেক জিএস আলহাজ্ব মোশারফ হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েল, সদর থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

এসময় বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোতালেব মাস্টার, বিএনপি নেতা হারুনুর রশিদ মোল্লা, হাবিব গাজী, নজরুল ইসলাম, জাকির হোসেন খান, বিল্লাল বেপারী, শাহাদাত খান, সেলিম মজুমদার, আ. রব মিজি, জেলা কৃষক দলের সাবেক সভাপতি হাজী আবুল বাশার, শহীদ ফারুক, মুকবুল হোসেন, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি বশির আহমেদ খান, যুবদল নেতা ডিএম জুয়েল, কামাল পাঠান, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মীর আনোয়ার হোসেন বাচ্চু, জাকির হোসেন, শ্রমিকদল নেতা নজরুল ইসলাম, মজিবুর রহমান, জেলা তাঁতী দলের সভাপতি সফিকুর রহমান পাটওয়ারী, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, তরুন দল নেতা তাহের মোল্লা, ছোটন বেপারী, ছাত্রদল নেতা মাহাবুব মুন্না, ইয়াকুব বিন সায়েদ লিটন, মোজাম্মেল হোসেন, সফিউদ্দিন বাবলু সহ বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবেদক- আশিক বিন রহিম
: আপডেট, বাংলাদেশ ৫: ০০ পিএম, ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বুধবার
ডিএইচ

Share