Home / বিনোদন / বিবাহবার্ষিকীতে যা বললেন চাঁদপুরের শবনম ফারিয়া
faria

বিবাহবার্ষিকীতে যা বললেন চাঁদপুরের শবনম ফারিয়া

জনপ্রিয় এ অভিনেত্রীর জন্মস্থান চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ১১ নং পশ্চিম ফতেপুর মান্দারতলী গ্রামে। তাঁর বাবা মরহুম ডা. মীর আবদুল্লাহ একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। ১৯৭১ সালে তিনি ছাত্রাবস্থায় মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চিকিৎসক এ মানুষটি পেশাগত কারণে ঢাকায় বসবাস করতেন।

বিয়ের আগে অনেকেই বলেছিল, ফারিয়ার বিয়েটা টিকবে না। এ নিয়ে ভীষণ মন খারাপও হতো। তবে ভালোবাসার মানুষকে নিয়েই সামনের দিনগুলো কাটাবেন, এ সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন তিনি। সবাইকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ভালোবাসার দুটি বছর পার করলেন শবনম ফারিয়া। বিয়ের দুই বছর পূর্তির দিন শুক্রবার সন্ধ্যায় দুঃখের কথাটা জানান।

আরও পড়ুন…

চাঁদপুরের চিকিৎসক কন্যা অভিনেত্রী শবনম ফারিয়ার অজানা কিছু তথ্য

দুই বছর আগের এই দিনে ভালোবাসার মানুষ হারুনুর রশীদ অপুর সঙ্গে বিয়ে হয় অভিনয়শিল্পী শবনম ফারিয়ার। ফারিয়ার মতে, ছয় মাস টিকবে না বলেছিল যে সংসার, সেটি কীভাবে জানি দুই বছর টিকে গেল। এ নিয়ে নিজের ফেসবুকে একটি পোস্টও দেন তিনি। সেখানে অনেক কিছু তুলে ধরেন তিনি।

ফারিয়া বলেন, ‘আমার বিয়ের আগে আমাদের বিনোদন অঙ্গনের অনেককে যাঁরা আদর্শ ভাবেন, তাঁদের মধ্য থেকে যেকোনো কারণেই হোক দু-একজনের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। কারও সঙ্গে কারও মনের মিল না হলে বিচ্ছেদ হওয়াটাই স্বাভাবিক, এটা খুবই ম্যাচিউরড প্রক্রিয়া। আমাদের হয়তো বেশি মানুষ চেনেন, তাই আমাদের অ্যাক্টিভিটি সবার চোখে লাগে।

অন্য কোনো মাধ্যমের কেউ হলে হয়তো এতটা গুরুত্ব পেত না। আমার বিয়ের আগে মানুষজন নানা মন্তব্য করত। ফেসবুকে বিয়ের ছবি পোস্টের পর কেউ তো এমনও বলেছেন, বিয়ে করছেন তো কী হয়েছে। আপনাদের তো বিয়ে টিকবে না। এত টাকা খরচ করে বিয়ে করে কী লাভ! আরও কত কথা! এগুলো নিয়ে মন খারাপ হতো। মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করাও মুশকিল হতো। তারপরও নিজেকে শান্ত রাখতাম।’

বিয়ের দ্বিতীয় বছর পূর্তির দিনটা কীভাবে কাটালেন? ‘তেমন কিছুই না। বাসায় ছিলাম। আমার বাসার সবাই চাঁদপুরে দাদার বাড়িতে গেছেন। এই মাসের প্রথম সপ্তাহে ছিল দাদার মৃত্যুবার্ষিকী। এদিকে শ্বশুরবাড়ির সবার ব্যস্ততা আছে। আমার দেবরের সামনে পরীক্ষা। সব মিলিয়ে নিজেদের মতো করে একটা দিন কাটানো।’

২০১৫ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে শবনম ফারিয়া ও অপুর বন্ধুত্ব হয়। ফেসবুকে দুজনেরই অনেক কমন বন্ধু ছিল। এরপর ফেসবুকে কথা বলতে বলতে দুজনের ভালো বন্ধুত্ব তৈরি হয়। একটা পর্যায়ে দুজনকে দুই পরিবারের সবার পছন্দ হয়। এরপর বিয়ের কাজটি সেরে নেন তাঁরা।

দুই বছরের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে ফারিয়ার দেওয়া ফেসবুক পোস্টটি ছিল এ রকম, ‘৬ মাসও টিকবে না বলা বিয়েটা কীভাবে কীভাবে জানি ২ বছর টিকে গেল! সব ভুলে যাওয়া, দায়িত্ব থেকে পালানো, জিদ্দি ছেলেটা আজকাল স্বামী হয়ে ওঠার প্রবল চেষ্টা করছে। আর আমার রাগ এবং ধৈর্যের পরিমাণ শান্তিনগর থেকে উত্তরার রাস্তার জ্যামের মতো প্রতিদিন বেড়েই যাচ্ছে, আজকাল আমার ইউটিউবের সার্চ স্টোরিতে নাটকের পরিবর্তে রান্নার ভিডিওই বেশি পাওয়া যায়! কীভাবে নতুন বাসা সাজাব কিংবা কী কী কিনব, সেই তালিকা করতে করতে রাতও মাঝে মাঝে শেষ হয়ে যায়। কী মুভি দেখব, তা ঠিক করতে করতে ঘুম চলে আসে! কোথায় খেতে যাব ঠিক করতে করতে সব রেস্টুরেন্ট বন্ধ হওয়ার সময় এসে পড়ে! কী পরে বের হব ঠিক করতে করতে মুভির সময় পার হয়ে যায়! দাওয়াতে কী নিয়ে যাব, ঠিক করতে করতে দাওয়াতেরও সময় পার হয়ে যায়! আমরা এমনই, আমি সব প্ল্যান করে করতে চাই।’

আর সে বলে, ‘গো উইথ দ্য ফ্লো।’ আমি মালদ্বীপের সমুদ্রের পাড়ে নিরিবিলি বসে থাকতে চাই, আর সে ব্যাংককে পার্টি করতে যেতে চায়। আমি যখন শুক্রবারে বিকেলে রিকশায় ঘুরতে চাই, আর সে বিছানায় শুয়ে পাবজি খেলায় মনোনিবেশ করতে চায়। আমরা ভিন্ন, কিন্তু দুজন মিলে “এক”। অনেক অভিমান, অনেক খুনসুটি, শুধুমাত্র ঝগড়া এড়িয়ে থাকার জন্য বহু বহু দিন কথা না বলে থাকা। তারপরেও “আমার এই পথ চলাতেই আনন্দ”।’

বিনোদন ডেস্ক,২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০