বিপৎসীমার উপরে ১০ নদীর পানি

দেশের মধ্যে ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ১০টি নদীর পানি ১৩টি পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এসব অঞ্চলের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে এরই মধ্যে বন্যা দেখা দিয়েছে।

ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় সিলেট ও রংপুর অঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বাপাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

শুক্রবার (১৭ জুন) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নদ-নদী পরিস্থিতি ও পূর্বাভাস প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি হাতিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬০ এবং চিলমারী পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দুধকুমার নদীর পাটেশ্বরী পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার উপরে উঠেছে। ধরলার পানি কুড়িগ্রাম পয়েন্টে ৯ এবং তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে।

সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে ১০৮, সিলেট পয়েন্টে ৭০ এবং সুনামগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এছাড়া সারিগোয়াইন নদীর পানি সারিঘাটে ২৩, পুরাতন সুরমা নদীর পানি দেরাই পয়েন্টে বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে।

লরেরগড়ে বিপৎসীমার ১৫৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে যাদুকাটা নদীর পানি। সোমেশ্বরী নদী কমলাকান্দা পয়েন্টে ৫৬ এবং ভুগাই নদী নাকুয়াগাঁও পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানান, দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।আবহাওয়া সংস্থাগুলোর গাণিতিক মডেলভিত্তিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৭২ ঘন্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের আসাম, মেঘালয় ও হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গের কতিপয় স্থানে মাঝারি থেকে ভারী, কোথাও কোথাও অতিভারী বৃষ্টিপাতের শঙ্কা রয়েছে। ফলে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, গঙ্গা-পদ্মা, সুরমা, কুশিয়ারা, তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমারসহ সব প্রধান নদ-নদীর পানি বাড়ার ধারা অব্যাহত থাকতে পারে।

তিনি আরও বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণা জেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।

একই সঙ্গে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতিরও অবনতি হতে পারে বলে জানান নির্বাহী প্রকৌশলী।

বার্তা কক্ষ, ১৭ জুন ২০২২

Share