স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় অতি দরিদ্র পরিবারের সকল সদস্যকে প্রতিবছর বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেয়া হবে। বেশ কয়েক বছর আগে টাঙ্গাইলের পাইলট প্রকল্প শুরু হয়েছিল। এ প্রকল্পটি আরও ৬টি জেলায় উন্নতি করা হবে। তারমধ্যে সর্বপ্রথম মানিকগঞ্জে উদ্বোধন করা হলো।
মানিকগঞ্জের সাতটি উপজেলার দেড় লাখ পরিবারকে প্রতিবছর ৫০ হাজার টাকার প্যাকেজে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা ও ওষুধ বিতরণ করা হবে। প্রথমে এমন ব্যবস্থা সরকারি হাসপাতালে করা হলেও পরে বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে এর আওতায় নিয়ে আসা হবে।
জাহিদ মালেক বলেন,‘ ঢাকা কেন্দ্রিক স্বাস্থ্যসেবাকে আমরা জেলা, উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়ে পৌঁছে দিতে চাই। এজন্য প্রতিটি জেলা হাসপাতালে ১০ বেডের আইসিইউ ও ডায়ালাইসিস ইউনিট করব। আমরা টেলিমেডিসিন নিয়ে কাজ করছি, যাতে মানুষ ঘরে বসে উন্নত চিকিৎসা সেবা নিতে পারেন। দিনদিন স্বাস্থ্য সেবার মান বাড়ানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছে সরকার।’
বিএনপি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন,‘ তাদের আমলে দেশে কোনো উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি। আওয়ামী লীগের আমলের প্রকল্প ক্ষমতায় গেলে তারা বন্ধ করে দেয়। কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে প্রতি বছরে ১০ কোটি মানুষকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। এই সেবাও বিএনপি বন্ধ করে দিয়েছিল। তাই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে পুনরায় নৌকা মার্কায় ভোট দিতে হবে।’
সভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণায়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শাহ আলম, যুগ্ম- সচিব মো.হেলাল হোসেন, এনডিসি মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা.রাশেদা সুলতানাসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
এজি