কুমিল্লা লাকসাম উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সবকয়টিতেই বিনাভোটে পাস করেছেন সকল প্রার্থী। অর্থাৎ চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত সদস্য ও সাধারণ সদস্য পদে নির্বাচনে একক প্রার্থী থাকাই ওই ৫টি ইউপিতে ভোট করা লাগবে না।
একই ঘটনা ঘটেছে শরীয়তপুর সদরের চিতলিয়া ইউপিতে। লাকসামের ঘটনাকে নজিরবিহীন বলছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তারা বলেছেন, ইউপি নির্বাচনে কখনোই একটি উপজেলায় এমন ঘটনা ঘটেনি। প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে লাকসামের পাঁচটি নির্বাচনে একটি পক্ষের বাইরে কাউকে প্রার্থী হতে দেয়া হয়নি-এটি স্পষ্ট। নির্বাচনে এভাবে প্রভাব বিস্তারের ফলে মানুষের ভোটের প্রতি আস্থা থাকবে না। একই কায়দায় অন্যান্য এলাকার ইউপিগুলো বিনা ভোটে পাসে কৌশল অবলম্বন করবে।
লাকসামের যে ৫টি ইউপিতে সবাই ভোট ছাড়াই নির্বাচিত সেই ইউপিগুলো হলো-উপজেলার কান্দিরপাড়, গোবিন্দপুর, উত্তরদা, আজগরা এবং লাকসাম পূর্ব। ৫টি ইউপির ৫জন চেয়ারম্যান, ৪৫জন সাধারণ সদস্য, ১৫জন সংরক্ষিত সদস্য পদের সবাই নির্বাচিত হন। নির্বাচিতরা সবাই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতা। আগামী ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপের ওই এলাকার ৫টি ইউপিতে ভোট হওয়ার কথা ছিলো। আপাতত লাকসামে কোন ভোট করা লাগবে না ইসির।
সংশ্লিষ্ট এলাকার অনেক প্রার্থী অভিযোগ করেছেন, ভোটে প্রার্থী না হতে তাদেরকে বিভিন্ন মহল থেকে চাপ প্রয়োগ করা হয়। মামলা-হামলার ভয়ে তারা প্রার্থী হননি। আবার যারা প্রার্থী হয়েছিলেন তাদের জোর করে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করানো হয়।
একইভাবে শরীয়তপুর সদরের চিতলিয়া ইউপির সবাই বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। সেখানে প্রার্থীদের স্বাক্ষর জাল করে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের অভিযোগ উঠেছে। শরিয়তপুরে কয়েকজন প্রার্থীর স্বাক্ষর জাল করে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করার অভিযোগের বিষয়ে সিইসি বলেন, এই বিষয়ে কমিশনের একজন যুগ্ম-সচিবকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদনটা পেলেই আমরা সঠিক যে অবস্থান সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেবো। সাত দিনের মধ্যে আমরা এটি জানতে পারবো।
নিউজ ডেস্ক, ৩ নভেম্বর ২০২১