সারাদেশ

বিধবাকে গাছে বেধে, চোখে ‘লবণ মরিচ লাগিয়ে’ নির্যাতন

কুমিল্লার মুরাদনগরে বিধবাকে গাছের সাথে বেধে পিটিয়ে এবং শরীরের ক্ষত স্থানে ‘লবণ ও মরিচ লাগিয়ে’ পাশবিক নির্যাতনের খবর পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) উপজেলার রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণ চাপিতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এমন একটি ছবি দেখতে পেয়ে ঘটনায় জাড়িত একজনকে আটক করেছে বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ।

ওই গ্রামের উত্তর পাড়া গ্রামের মৃত মুতি মিয়ার বিধবা স্ত্রী সুফিয়া বেগমকে (৪৫) গাছের সাথে বেঁধে পিটিয়ে জখম করে পাশের বাড়ির আরশ মিয়ার ছেলে সেলিমসহ ওই পরিবারের লোকজন। পরে সুফিয়া বেগমের শরীরের ‘ক্ষত স্থান’ এবং চোখে ‘লবন ও মরিচের গুঁড়ো’ লাগিয়ে দিয়ে চোখ বেঁধে দেয় তারা।

মঙ্গলবার সকালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির জের ধরে এভাবে পাশবিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ঘটনার পর পর বিধাব সুফিয়াকে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলেও পরক্ষণে তিনি হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে যান।

এ ঘটনার পরপর সুফিয়া বেগমের চোখ বাঁধা একটি বিভৎস ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকর মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

বিষয়টি নজরে আসে বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের।

তিনি উপপরিদর্শক (এসআই) মাহমুদুল হাসান রুবেলের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনার স্থলে পাঠালে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়।

ঘটনায় জড়িত সেলিমের মা কৌহিনুর বেগম (৪২) ও ছোট ভাই জীবনকে (১৬) আটক কওে থানায় নিয়ে আসেন।

এ বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘ঘটনার বিষয়টি আমরা জানতে পেরে তদন্ত করে একজনকে আটক করা হয়েছে।’

এদিকে সুফিয়া বেগমেরও সন্ধান পাওয়া গেছে বলেও জানান ওসি মোয়াজ্জেম।

তিনি বলেন, ‘হোমনা উপজেলয় বাবার বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন সুফিয়া বেগমক। তাকে খবর দেয়া হয়েছে। তিনি এসে অভিযোগ করলে মামলা দায়ের করা হবে।’

কুমিল্লা করেসপন্ডেন্ট : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১২:২০ এএম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬, শুক্রবার
ডিএইচ

Share