জাতীয়

ঘাটতি পুষিয়ে নিতে বিদ্যুৎ বিল আরো ২৩ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব

ঘাটতি পুষিয়ে নিতে পাইকারিতে ইউনিটপ্রতি বিদ্যুতের দাম আরো ২৩ দশমিক ২৭ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)। ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার কারওয়ানবাজারে টিসিবি অডিটরিয়ামে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি নিয়ে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) গণশুনানিতে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়। খবর বিডিনিউজের।

তবে প্রস্তাব পর্যালোচনা করে বিইআরসি বলছে, সরবরাহ ব্যয় সমন্বয় করতে ইউনিট প্রতি ১৯ দশমিক ৫০ শতাংশ দাম বাড়ানো যেতে পারে।

শুনানিতে পিডিবির জিএম (বাণিজ্যিক কার্যক্রম) কাউসার আমীর আলী বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পাইকারিতে বিদ্যুতের সরবরাহ ব্যয় ছিল ৫ টাকা ৮৩ পয়সা। এখন বিদ্যুতের পাইকারি মূল্য ৪ টাকা ৭৭ পয়সা। এর ফলে গত অর্থবছরে ৬৮ হাজার ৬২৩ মিলিয়ন টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে।

“২০২০ পঞ্জিকা বছরে গড় সরবরাহ ব্যয় হবে ৫ টাকা ৮৮ পয়সা হবে। কিন্তু বর্তমান মূল্য বজায় থাকলে এবছর ঘাটতি হবে ৮৫ হাজার ৬০৬ মিলিয়ন টাকা। এ ঘাটতি পোষাতে ইউনিটপ্রতি বিদ্যুতের পাইকারি মূল্য এক টাকা ১১ পয়সা বাড়ানো প্রয়োজন। ”

দাম বাড়ানোর কারণ হিসাবে বৈদেশি মুদ্রার বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন, গ্যাসের মূল্য ৪১ শতাংশ বৃদ্ধি, কয়লার ওপর নতুন করে ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ, বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যয় বৃদ্ধি ও কোনো কোনো বিতরণ সংস্থা কর্তৃক সময় মতো টাকা পরিশোধ না করাকে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির পক্ষে বিইআরসির উপপরিচালক (ট্যারিফ) মো. কামরুজ্জামান বলেন, তাদের পর্যালোচনায় পাইকারি মূল্য ৯৩ পয়সা বা ১৯ দশমিক ৫০ শতাংশ বাড়ানো যেতে পারে।

আগামী বছর প্রায় সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা লোকসানের পূর্বাভাস দিয়ে বিইআরসির দ্বারস্থ হয়েছে পিডিবি। পিজিসিবি চায়, চার বছর আগে নির্ধারণ করা তাদের সঞ্চালন চার্জ তিন ধাপেই বাড়ানো হোক।

প্রথম দিনের শুনানিতে পাইকারি বিদ্যুতের মূল্যহার পরিবর্তন ও সঞ্চালন মূল্যহার পরিবর্তনের প্রস্তাবের ওপর শুনানি চলছে।

সর্বশেষ ২০১৭ সালের নভেম্বরে পাইকারি বিদ্যুতের দাম গড়ে ৩৫ পয়সা বা ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বাড়ায় সরকার। আর চলতি বছরের ৩০ জুন গ্যাসের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয় বিইআরসি।

বিইআরসির চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম, সদস্য মিজানুর রহমান, আব্দুল আজিজ, রহমান মুরশেদ ও মাহমুদউল হক ভূইয়া শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন।

ক্যাবের উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম, মুঠোফোন গ্রাহক সমিতির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ, বিএনপি নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিজিএমইএর প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, বিকেএমইএর সজিব হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, সিপিবি নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্সসহ আরও কয়েকজন ভোক্তা প্রতিনিধি দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বক্তব্য দেন।

বার্তা কক্ষ, ২৮ নভেম্বর ২০১৯

Share