দেশে এখন সাড়ে ৯৯ ভাগের বেশি জনগণ শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় এসেছে বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বুধবার সংসদে লিখিত প্রশ্নোত্তরে তিনি জানান, দেশের ৪৬১টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু দুর্গম অফগ্রিড এলাকা ছাড়া মুজিববর্ষে গ্রিড-অফগ্রিড নির্বিশেষে শতভাগ বিদ্যুতায়ন কার্যক্রম নিবিড় তদারকির মাধ্যমে বাস্তবায়ন হচ্ছে।
মমতা হেনা লাভলীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, চলমান শতভাগ বিদ্যুতায়নের কার্যক্রমের কারণে আবাসিক খাতে বিদ্যুতের ব্যবহার বেড়েছে। সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম ও ইকোনমিক জোনগুলো পর্যায়ক্রমে চালু হলে শিল্প খাতেও বিদ্যুতের ব্যবহার পর্যায়ক্রমে বাড়বে।
কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ জানান, ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে উৎপাদিত বিদ্যুতের ৫৬ দশমিক ৪২ ভাগ আবাসিক খাতে, ১০ দশমিক ৫৮ ভাগ বাণিজ্যিক খাত এবং ২৮ দশমিক ৪০ ভাগ শিল্পখাতে ব্যবহার হয়েছে।
নুরন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন ও ভবিষ্যতে ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা বিবেচনা করে ২০২১ সালের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার লক্ষ্যমাত্রা ২৪ হাজার মেগাওয়াট নির্ধারণ করা হয়েছিল। বিগত ১২ বছরে ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়ে ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ ২৫ হাজার ২৩৫ মেগাওয়াটে উন্নীত হওয়ার মাধ্যমে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে।